ঢাকা কলেজে ডাইনিংয়ের খাবার বন্ধ রেখে শিক্ষকের মেয়ের গায়ে হলুদ |

৪৪

হুমায়ুন কবির।।
ঢাকা কলেজ উত্তর ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থীর খাবার বন্ধ রেখে মেয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক ও উত্তর ছাত্রাবাসের সহকারী হল সুপার সালাউদ্দিন হায়দারের বিরুদ্ধে।গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) উত্তর ছাত্রাবাসের খাবারের ডাইনিংয়ে হলুদ অনুষ্ঠান করার জন্য দুপুর ও রাতের খাবার বন্ধ রাখেন তিনি।
উত্তর ছাত্রাবাসে ইন্টারমিডিয়েট,অনার্স ও মাস্টার্সের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর আবাসন।
বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা দুপুর ও রাতের খাবার কলেজের অন্যান্য ছাত্রাবাস ও হোটেলে খান। কেউ কেউ বাহিরে শুধু একবেলা খেয়ে থাকেন আবার অনেকেই না খেয়ে থাকেন। কারণ হলে থাকা শিক্ষার্থীরা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরিব ও অসচ্ছল পবিরাবের সন্তান।
তারা টিউশনি ও পার্টটাইম জব করে পড়াশোনার খরচ চালান। কেউ বাড়তি কোনো টাকা খরচ করতে পারেন না।জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজ উত্তর ছাত্রাবাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, সহকারী হল সুপারের মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করার জন্য ডাইনিংয়ে করার জন্য খাবার বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে অনেক কষ্ট হয়েছে। দুপুরের খাবার অন্যত্র গিয়ে খেতে হয়েছে।আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি মধ্যবিত্ত পবিরারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে হলে থাকি। হলের খাবার বন্ধ থাকায় দুপুরে বাহিরে খেয়েছি। রাতে টাকার সংকটে খেতে পারিনি। কারণ বাহিরের হোটেলে এক বেলা খেতে ডাইনিংয়ের দুই বেলার সমান খরচ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের খাবারের কষ্ট দিয়ে ডাইনিংয়ে কেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হলো। হলে কোনো বড় লোকের ছেলে থাকেন না, সবাই মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরিব ও অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। তাদেরকে এভাবে কষ্ট দেওয়া ঠিক হয়নি। এর দায় হল ও কলেজ প্রশাসন কোনোভাবে এড়াতে পারে না।
এসব জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক সালাউদ্দিন হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যেকোনো অনুষ্ঠান করা হয়। ছাত্রদের জানানো হয়েছে এবং তাদের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে। বিস্তারিত হোস্টেল সুপারের সাথে কথা বলেন।’
এবিষয়ে উত্তর ছাত্রাবাসের হল প্রভোস্ট ওবায়দুল করিম বলেন, আমি যতটুকু জানি, উনি (সালাউদ্দিন হায়দার) ছাত্রদের অনুমতি নিয়েছে। রুমে রুমে আগে ছাত্রদের বলা হয়েছে। ছাত্ররাও আমাকে বলছে, তাদের সবার সাথে উনি কথা বলেছে। শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক আসলে পরিবারের মতোই। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি ওইভাবে নিয়েছে। আর আমি জানতাম, এই অনুষ্ঠানে ছাত্রদের সম্মতি আছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘রবিবার অফিস খোলা হলে বিষয়টি আমি দেখবো। কেন এবং কী কারণে এ রকম হলো।’

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.