টঙ্গীতে অবৈধ (গ্যাস) সংযোগের টাকা দিয়ে আলিশান অট্টালিকা।

সিনিয়র রিপোর্টার:-ইকরামুল হক (মারুফ)

টঙ্গীতে ৫১ নং ওয়ার্ড সাতাইশ খরতৈল বড় মসজিদ সংলগ্নে খরতৈল কবরস্থান রোডে, লোকমান নামে এক লোক জোরপূর্বক অন্যর জমিতে এবং পাশে থাকা কবরস্থানে উপর ছাদ বাড়িয়ে বাড়ী নির্মাণ করছে।এই অন্যায় কাজে বাধা দেওয়া স্থানীয় লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে থানা থেকে পুলিশ নিয়ে চাঁদাবাজি মামলার দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিছেন এই লোকমান ও সোহেল রানা অবস্থার অবনতি দেখে জমির মালিক এবং কবরস্থানের মালিক ও আশেপাশের বাড়ি ওয়ালারা বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ আমজাদহোসেনকে অবহিত করেন, ইতিমধ্যে পাশের জমির মালিক গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।অভিযোগ পত্রটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর জোন-১ প্রেরণ করা হয়েছে। সবকিছুই উপেক্ষা করে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করেই যাচ্ছে, জানা যায় এই লোকমানের রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। এই লোকমানের রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী যার বেশিরভাগ সদস্যরাই টংগীর এরশাদনগর, ইতিমধ্যেই এরশাদ নগর থেকে লোকজন নিয়ে উক্ত স্থানটিতে শোডাউন করা হয়। জানা যায় সোহেল রানা নামে লোকমানের দেশী সহযোগী ভূয়া কার্ড ধারি সাংবাদিক জীবনে যার একটি নিউজ পত্রিকা ছাপা হয়নি, সাংবাদিকের লেবাস লাগিয়ে হুমকি, ধামকি এবং চাঁদাবাজি করে আসছে,এই সেই কথিত সোহেল রানা। এলাকাবাসীকে হামলা মামলা-সহ বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন লোকমানের লোক। এই লোকমান একসময় টঙ্গী বিভিন্ন স্থানে মানুষের বাড়ী বাড়ীতে মাষ্টারী করতেন, নুন আনতে যার পান্তা ফুরাতো , হঠাৎ কয়েক বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ,পেয়ে যান আলাউদ্দিনের চেরাগ।এই আলাউদ্দিনের চেরাগ পাওয়ার মূল কারণ হলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ, টঙ্গী পশ্চিম থানা সহ টঙ্গীর আশেপাশে সব এলাকায় এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই টংগীতে কিনে ফেলেন ব্যয়বহুল (দুটি ফ্লাট) জোরপূর্বক বাড়ী নির্মানধীন তিন কাঠা জমিটি দখল করেন এবং কি দেশে বরিশালে কিনেন অনেক সম্পত্তি।কোটিপতি হবার সুবাদে পরিচয় হয়,টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানের নেতা-নেত্রীদের সাথে,পরিচয় হয় কিছু অসাধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সাথে এবং নামধারী অপসংবাদিকদের সাথে। কিছুদিন পূর্বেও তার অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া কাজে এবং মানুষের মাসিক মাশাওয়ারা নেওয়ার বাধা দেওয়া কিছু সাংবাদিকদের সাথে বাগ বিন্দু হয়,
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় খরতৈল এবং সাতাইশ এলাকায় প্রায় বাড়ীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং বর্ধিত চুলার দায়িত্ব এই লোকমানের। তিতাস গ্যাসের কিছু অসাধু ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক করে এই লোকমান প্রতি মাসে নিচ্ছে মাসিক মাসোয়ারা,কোন বাড়ির মালিক মাসাওয়ার দিতে রাজি না হলে, পরেই শুরু হয় তার নির্যাতন, তিতাস গ্যাসের কর্তৃপক্ষ লোকজন এনে তাদের লাইন বিচ্ছিন্ন এবং জরিমানা করা হয়, আবার কিছু সময় কিছু অসাধু সাংবাদিক দিয়ে মানুষকে নাজেহাল ও জরিমানা করা হয়,কয়েক মাস পূর্বে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া এবং মাসিক মাসোয়ারা খাওয়ার কারনে সাংবাদিকরা টঙ্গী পশ্চিম থানা একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এই সবকিছু বিবেচনা বুঝা যায়,এই লোকমান এখন অনেক শক্তিশালী ও ক্ষমতাশালী মানুষ,তাহলে কি সাধারণ মানুষের লোকমানের কাছ থেকে মুক্তি নেই। এলাকাবাসী দাবী তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং মহানগর পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের কাছে,এই লোকমানের বিরুদ্ধে যেন যথারীতি আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়!

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.