খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে কালীগঞ্জ থেকে বিশেষ ট্রেনে গেল ৪ হাজার নেতাকর্মী

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে কালীগঞ্জ থেকে বিশেষ ট্রেনে গেল ৪ হাজার নেতাকর্মী

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ ট্রেনষ্ট্রিশন থেকে ১ বিশেষ ট্রেন সহ ২টি ট্রেনে যোগে প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মী খুলনায় গেছে। প্রধানমন্ত্রী সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। সোমবার সকাল ৯টায় কালীগঞ্জ শহরের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি বিশেষ ট্রেনটি ভাড়া করেন বলে দলীয় সুত্র জানিয়েছে। কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা শিবলী নোমনী নেতৃত্ব দিয়ে নেতাকর্মী ভর্তি ট্রেনটি খুলনা নিয়ে যান।

খুলনা সফর উপলক্ষ্যে সকাল থেকে মোবারকগঞ্জ স্টেশনে ঝিনইদহ-৪ নির্বাচনীর এলাকার বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকে। এসময় নেতাকর্মীদের মিছিল শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে স্টেশন এলাকা।
মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার শেখ শাহাজান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে নেতাকর্মীরা যোগ দিতে বিশেষ একটি ট্রেন ভাড়া করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে এবং জনসভা শেষে এসব যাত্রী নিয়ে আবার ট্রেনটি মোবারকগঞ্জ ফিরে আসবে।
ট্রেনের নেতৃত্ব দেওয়া কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী জানান, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ অঞ্চল সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের মানুষ। যে কারনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। জনসভাকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলার ও ঝিনাইদহ সদরের আংশিক) এলাকা থেকে কর্মী ও সমর্থকরা খুবই উচ্ছ্বসিত।
এছাড়াও ঝিনাইদহ-৪ এলাকার নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে নিয়ে শতাধীক বাস ও মাইক্রো খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আনার জানান, এ সরকারের আমলে খুলনা বিভাগে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন। যে কারনে এ অঞ্চলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত।