অদৃশ্য কারনে বন্ধ হচ্ছে না ইছামতি নদীর মাটি বিক্রী।

১১

 

হাফিজুর রহমান,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার কাতরাশিন গ্রামে ইছামতি নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে বিক্রীর অভিযোগে মোঃ আব্বাস আলী ও মোঃ আঃ মান্নান মিয়া ও ফারুকের বিরুদ্ধে গত ৪ মার্চ একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হইলেও অদৃশ্য কারনে বন্ধ হচ্ছে না নদীর মাটি বিক্রী ও ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে নদীর তীরবর্তী বসতী মমতাজ বেগম বলেন, নদী থেকে মাটি কাটায় আমাদের বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে। এবার নদীতে পানি আসলেই আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে পরবে। চেয়ারম্যান ও তার লোকজন দিয়ে রাতের আধাঁরে নদী থেকে মাটি কাটার বিষয়ে আমরা ইএনও অফিসে অভিযোগ করেছি তারপরও তারা মাটি কাটা বন্ধ করছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই দেশে কোন আইন নাই,কার কাছে বিচার দিব।

সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্বাস আলীর নির্দেশে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আ: মান্নান ও ফারুক দীর্ঘ দিন যাবৎ ইছামতি নদী থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রী করছে। সংবাদ প্রকাশের পর তারা সাময়িক বন্ধ রাখলেও পুনরায় মাটি কেটে বিক্রী করছে তারা। মাটি কাটার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদেরকে নানা ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে তারা।

এ বিষয়ে উথুলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আ: মান্ননের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, মাটিতো বিক্রী করছি না, রাস্তা মেরামতের কাজ করছি। ওখানে আরেকটি ভেকু আছে ,সেই ভেকুর মালিক হাবেজ সাবের নিকট মাটি বিক্রী করছে। নদী থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাস্তার কাজের জন্য নদী থেকে মাটি কাটার জন্য বলেছে।

উথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্বাস আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এলাকার মানুষের গোসলের পানির খুব অভাব,তাই তাদের পানির ব্যবস্থা করার জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কাটছি। এখান থেকে যে মাটি উঠছে তা দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেনর সাথে কথা বললে তিনি পূর্বের ন্যায় বলেন, অভিযোগটা আমরা পেয়েছি, রাতের আধারে ইছামতি নদী থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.