৫ আগস্ট দুপুরের পরই রাজশাহীর মানুষ রাস্তায় নেমে আসে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে, কেউ মাথায় বেঁধে। তার খানিক পরেই বিজয়ের প্রাক্কালে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে মেতে ওঠে কিছু মানুষ। খবর আসতে থাকে সরকারি স্থাপনাসহ অনেক জায়গায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ হয়েছে। পুরো শহর ধোঁয়াটে হয়ে আসে। অন্যান্য জায়গার মতো রাতভর লুটপাট, ভাঙচুরের মধ্যে আতঙ্কে রাত কাটায় নগরবাসী।
৬ আগস্ট বিকেল চারটা নাগাদ খবর পাই রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যানে দুষ্কৃতকারীরা হরিণ চুরির চেষ্টা করছে। দ্রুত আমরা কিছু চলচ্চিত্রকর্মী সেখানে পৌঁছে দেখি, এলাকাবাসী ও অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের চেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। চারদিকে এমন আতঙ্কের মধ্যেই রাতে খবর পাই, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরেও দুষ্কৃতকারীরা আক্রমণ করেছে, যদিও সেটা ছিল গুজব। আরও নতুন নতুন স্থাপনায় আক্রমণের খবর আসে।