বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটা পর্যায়ে সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণের এই আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণও ছিল। তরুণ সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান আন্দোলন চলাকালে ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ শীর্ষক পুরোনো গানের সঙ্গে প্রতিবাদ জানান। আন্দোলনে সমর্থনের কারণে গত জুলাইয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে জানান তাসরিফ। তাঁর ব্যান্ডের ড্রামার শান্তকে বেধড়ক পেটানো হয়, সেই ঘটনার বর্ণনা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন।
তাসরিফ খানের ফেসবুক পোস্টের পর কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আজ শনিবার দুপুরে তিনি প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমার এই প্রতিবাদ কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে ছিল না। এখানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনো ইস্যু নয়, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমার এই আন্দোলন। আমি নিজেও কোনো রাজনীতি করি না। একজন শিল্পী হিসেবে আমি আমার শিল্পকর্ম দিয়ে সমাজ, রাষ্ট্রের অসংগতির কথা বলেছি। ভবিষ্যতেও যখন আমার চোখে অন্যায় অসংগতি চোখে পড়বে, বলে যাব। শিল্পী হিসেবে এটাই আমার সবচেয়ে বড় দায় বলে মনে করছি।’
Login To Leave a Comment