কিছুদিন আগেই জানা যায়, অজয় দেবগনের ছবি ‘সন অব সরদার-২’ থেকে বাদ পড়েছেন বিজয় রাজ। লন্ডনে ছবির শুটিংয়ের সময় অপেশাদার আচরণের অভিযোগ ওঠে অভিনেতার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, ছবির প্রযোজক কুমার মঙ্গত পাঠক বিজয়ের স্পট বয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন বিজয়। খবর পিঙ্কভিলার
জানা গেছে, সেটে উপস্থিত ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, বিজয় রাজের স্পট বয় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হোটেলের এক কর্মচারীকে যৌন নির্যাতন করেছেন। অভিনেতার দাবি, তাঁর সিনেমা থেকে বাদ পড়া ও স্পট বয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা।
দুটি ঘটনার মধ্যে অন্তত ১০ ঘণ্টার পার্থক্য রয়েছে। বিজয়ের ভাষ্য, ‘আমাকে ৪ আগস্ট বেলা দুইটায় ছবিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর আমার স্পট বয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটা ঘটেছিল ৪ আগস্ট রাত ১১টায়। ওই ব্যক্তি আমার স্পট বয় হিসেবে কাজ করলেও এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এ ধরনের ঘটনাকে সমর্থনও করি না।’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ‘সন অব সরদার-২’ সিনেমার প্রযোজক কুমার মঙ্গত পাঠক বলেন, ‘বিজয়কে ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। তাঁর (বিজয়) কর্মীদের দায়িত্বও তাঁর। ভাবুন তো, আপনার দলে এমন একজন রাক্ষস থাকলে…। আমরা হোটেলের পক্ষ থেকে একটা অফিশিয়াল ই-মেইল পেয়েছি। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বলেছি, আমরা খুশি বিজয় রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য। আমরা এমন ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করতেও চাই না।’
প্রযোজক আরও বলেন, ‘ছবিতে কাজ করার জন্য বিজয় রাজ বড় রুম, ভ্যানিটি ভ্যান দাবি করেছিলেন; স্পট বয়দের জন্য অতিরিক্ত চার্জও করেছিলেন। ওঁর স্পট বয়কে প্রতি রাতে ২০ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছিল, যা যেকোনো বড় অভিনেতার চেয়ে বেশি। শুটিংয়ের জন্য যুক্তরাজ্য ব্যয়বহুল জায়গা, বাকি শিল্পীরা প্রত্যেকে মোটামুটি মানসম্পন্ন কক্ষ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি প্রিমিয়াম স্যুট দাবি করেছিলেন। বিজয়ের আচরণ ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে। তাঁর দাবির শেষ ছিল না।’