ভোলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন দিশেহারা, নেই কোনো প্রতিকার

 

এম মিরাজ হোসাইন, ভোলা :
ভোলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। পবিত্র রমজান মাস থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে চরম দুর্ভোগে ভোলার মানুষের জনজীবন দিশেহারা।

যদিও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ভোলার দীর্ঘদিনের পরিচিত সমস্যা। তবে গত কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ যেন আসা-যাওয়ার খেলা।

সামান্য বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাত হলেই ভোলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আর ভারি বৃষ্টি হলে তো বিদ্যুতের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। এমন কি যদি হালকা বাতাসও শুরু হয় তৎক্ষনাত বিদ্যুৎ চলে যায়।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করছে, ফোন করছে, কিন্তু বিদ্যুৎ কর্মকর্তাগণ বেশিরভাগ সময়ই ফোন রিসিভ করছে না। ঈদুল ফিতরের পরের দিন রাতে দৌলতখান জৈনপুরী হুজুর বাড়ি মসজীদ সংলগ্ন নিউ ডায়াগানষ্টিকসহ ৬টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আমরা একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেই কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করে না। বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বরত কর্মচারীরা যদি যথাসময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতো তাহলে আমরা এতো টা ক্ষতিগ্রস্তের স্বীকার হতাম না। বিদ্যুৎ বিভাগে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরম উদাসীনতা রয়েছে । ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরকারি নাম্বার থেকে শুরু করে সাধারণ অভিযোগ কেন্দ্রের নাম্বারগুলোও প্রতিনিয়তই ব্যস্ত দেখাচ্ছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা দুর্ঘটনা দেখা দিলেই তৎক্ষণাত কর্তৃপক্ষের রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

দৌলতখান পৌর বাসিন্দা মোঃ ফয়জুর রহমান দৈনিক সাহসী কন্ঠ কে জানান,বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে দৌলতখানের মানুষ অতিষ্ট। একে তো সূর্যের প্রচন্ড তাপদাহের কারনে মানুষ দিশেহারা অন্যদিকে যদি অন্তত বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে জীবন অতিবাহিত করতে হয়।

এছাড়াও ভোলা পল্লী বিদ্যুতের একাধিক গ্রাহকেরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলায় ২২৫/ ২৪ মেঘাওয়েট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় ভোলার বিদ্যুত থেকে সুফল পেলেও সুফল পাচ্ছে না ভোলার মানুষ। আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগতে হয়। দৈনিক প্রায় ৪- ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। কিন্তু এতে মাথাব্যথা নেই পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতখান পল্লী বিদ্যুতের ইনচার্জ আঃ রশিদ বলেন,তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারনে ইঞ্জিন ওভার হিট হয়ে যায়। আবার যদি সম্পূর্ণ স্পীডে ইঞ্জিন চালানো হয় তাহলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তবে আর বেশি দিন ভোলাবাসী বিদ্যুত সংকটে ভুগতে হবে না। তিনি আরো বলেন,এ মৌসুমে বজ্রপাতের কারণে লাইনে সমস্যা তৈরি হয়। এ কারণে বিভিন্ন যায়গায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment