ইউপি নির্বাচনে তোরজোড়, কিন্তুু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে অনীহা কেন

 

মোঃ সাইফুল ইসলাম

কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে চাও?
সবার আগে সে জাতির শিক্ষা ব্যবস্হাকে ধ্বংস করো।
আজ করোনা মহামারী বছর হতে বছর ঘুরে আবারও একটি নয়া বছরে পদার্পন করলো।

বৈশ্বিক মহামারীর তালতমালে দিশেহারা সারাবিশ্ব।
কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার আলো আজ পুরোটাই নিভে গেছে।

স্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের হাতে অনলাইন ক্লাসের নামে তুলে দেওয়া হয়েছে স্মার্টফোন।
শিক্ষার নিভু নিভু জ্বলতে থাকা শেষ আলোটুকু মোবাইলের আলোয় আবার জ্বলজ্বল করে ওঠে বন্ধুদের নিবিড় আর নিরিবিলি আড্ডা সম্মেত এই ফায়ার কর, এই সামনে দিয়া আক্রমণ কর, পিছনে শত্রু, ডানে শত্রু, সব এবার ঘায়েল হবে এর মধ্যে দিয়ে।

আসলেও কি ঘায়েল হবে?
না শিক্ষার্থীদের অন্ধ আসক্তির বদ্ধ বেড়াজালে ফ্রী ফায়ার আর পাবজির গোলাগুলিতে নিজেরাই ঘায়েল হয়ে যাবে?

করোনা পাদুর্ভাবের পর থেকেই কখনো খোলা হয়নি স্কুল কলেজের বন্ধ দুয়ার।
যারাই বেসরকারী আর ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়েছিলেন, তারা সবাই শিক্ষক জীবনের পেশা গুটিয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।
প্রতিষ্ঠানের ভাড়া আর শিক্ষকদের বেতন বাবদ প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা যে দুঃসাধ্য এক পুঁথিকার গল্পকেও হার মানাবে।
আর সরকারি স্কুল, কলেজের বন্ধ দুয়ার খুললে হয়তো মিলবে হাজার বছরের পুরানো ধূলোকনা মিশ্রিত এক পুরাকৃতি সম্বলিত স্মৃতির জাদুঘর।
ভেঙে যাওয়া শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ডকে সোজা করতে এখনো নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ কিন্তু তফসিল হওয়া সেই নির্বাচনের বন্ধ হওয়া ৩৭১ ইউপি নির্বাচনের আগামী ২১শে জুন আবার নির্বাচনের জন্য তোরজোড় খোদ নির্বাচন কমিশনের।
ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে যে লোকসমাগম তাতে কি করোনারা পালিয়ে বেড়াবে?
পক্ষ প্রতিপক্ষের হাকডাকে ঘায়েল হবে মহামারী।
মনে হয় নিস্তেজ আর অসার হয়ে পড়বে করোনার তেজদীপ্ত শক্তি।
তাই যদি হয় সবার আগে রক্ষা হোক আগামীর ভবিষ্যত।
যুদ্ধ বিগ্রহের ফ্রী ফায়ার আর পাবজির অস্ত্র ফেলে কলম, বই, খাতা তুলে নিক শিক্ষার্থীরা।
নিভে যাওয়া জাতির অন্ধকার গলির আস্তানা থেকে বের হয়ে আসুক শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন চলা যুদ্ধ বিগ্রহ (ফ্রী ফায়ার, পাবজি) কখনো কোনো জাতির শান্তির বারতা বয়ে আনতে পারেনা।
জাতির ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করতে শিক্ষার্থীদের আপন আবাস হোক শিক্ষালয়ের ঐ ঠিকানা।
শিক্ষক আর শিক্ষাথীর সম্পর্ক চির বন্ধনের, চির আজন্মকালের।
এতোটা বছর একে অপরের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে কিভাবে থাকতে পারে তারা?
বিচ্ছেদে কি তাদের আত্মার মৃত্যুও ঘটে না।
নির্বাচন কমিশনের মতো সাহস করে হলেও এবার অনশন আর নিরবতা ভেঙে শিক্ষার পাল তুলে শিক্ষার্থীদের বাঁচান শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
না হলে আগামীর ভবিষ্যত যে মরার আগে মরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে অন্ধকার জীবনের আশংকায়।

100% LikesVS
0% Dislikes
Comments (০)
Add Comment