স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিকে ভোট পেতে কম্বল দেবার প্রতিশ্রুতি চেয়ারম্যানের,পুলিশের হস্তক্ষেপে কম্বল উদ্ধার ও বিতরন ।

১৬

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার ।ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকের পক্ষে ভোট চেয়ে সরকারী ত্রানের কম্বল দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কাষ্টভাঙ্গা ঋষিপাড়া গ্রামের স্বপন দাসের বাড়ী থেকে ওই ৪৫ পিচ সরকারী কম্বল পাওয়া গেছে। ওই গ্রাম পুলিশের ভার্ষ্য, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আয়ুব হোসেন খান কম্বলগুলি বিতরনের জন্য আগের দিন সন্ধ্যায় তার কাছে পাঠিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বারবাজার ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর কালীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভ’মি) কে অবহিত করলে তার নির্দ্দেশেই শুক্রবার সকালে কম্বলগুলি সাধারন মানুষের মাঝে প্রদান করা হয়।

এলাকাবাসীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রাম পুলিশ কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের স্বপন দাসের বাড়িতে সরকারী অনেক কম্বল আসে। পরদিন শুক্রবার সকালে গ্রামবাসীরা কম্বল পেতে তার বাড়িতে গেলে জটলা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা ফাড়ি পুলিশ ও গনমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন।
এ আসনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম আনারের অভিযোগ, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী আব্দুর রশিদ খোকনের ট্রাক প্রতিকে ভোট করছেন। আগের দিন সন্ধ্যায় তারা কম্বল দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রৃষি পাড়াতে ট্রাক প্রতিকে ভোট চেয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া ওই সরকারী কম্বলগুলিই গ্রাম পুলিশের বাড়ী থেকে উদ্ধার হয়েছে। তিনি নির্বাচনে আচরনবিধি লংঘনের বিচার চান।

বারবাবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ হায়াত আলী জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রাম পুলিশ স্বপন দাসের বাড়ী থেকে সরকারী ৪৫ পিচ কম্বল উদ্ধার করেন। এ বিষয়টি তিনি কালীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভ’মি) কে অবহিত করলে তার নির্দ্দেশেই কম্বলগুলি সাধারন মানুষের মাঝে প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভ’মি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাওয়া জনপ্রতিনিধিগন সরকারী অনুদানের কম্বল বা কোন মালামাল দিতে পারবেন না। দিলে তা আচরন বিধি লংঘনের আওতায় পড়বে। তিনি বিষয়টি জানার পর পরই পুলিশের সহায়তায় কম্বলগুলি সাধারন মানুষের মাঝে বিতরনের নির্দ্দেশনা দিয়েছেন।

ভোটের বিনিময়ে কম্বল দিবেন এমন অভিযোগের বিষয়টি জানতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.