স্ত্রী কে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করে স্বামীর আত্মহত্যা।

১৪

মাসুদ রায়হান ,যশোর জেলা প্রতিনিধি ।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহাল পুর গ্রামে বসবাসরত উজির আলী তার ত্রিতিয় স্ত্রী পারভিন আক্তার কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করে নিজ গলায় ফাস দিয়ে আত্মা হত্যা করেছে।

ঘটনার বিবরন ও ঘুরে যানা যায় মনিরামপুর উপজেলার বালিধা গ্রামের উজির আলী (৫৫) নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামে জৈনিক রোজিনা আক্তারের বাড়িতে বাড়া নিয়ে উজির আলী ও তার তৃতীয় স্ত্রী পারভিন আক্তার প্রায় ৮/৯ মাস ভাড়া থাকে।

ঘটনার দিন গত কাল রাত আনুমানিক দশটা সাড়ে দশটার দিকে উজির আলীর টিন সেট ঘর থেকে ফিস ফিস শব্দ হতে হাকে বিষয় টি পাশের লোকজন প্রথমে আমলে না নিলেও, উজির আলী তার স্ত্রী কে দেশীয় অস্ত্র
দিয়ে কুপিয়ে ও ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে বাড়ির গেট খুলে ঘরের পাশে রাস্তার উপর চলে আসে।

রক্তাক্ত গুরুত্বর আহত স্ত্রী পারভিন আক্তার উজির আলীর পিছনে পিছনে রাস্তায় এসে কাটা গলা নিয়ে ফ্যাস ফ্যাস শব্দ করে রাস্তায় পড়ে যায় তার এই শব্দে পাশের লোকজন ছুটে আসলে উজির আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন নেহালপুর পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে নেহালপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল হান্নান ঘটনা স্থলে পৌঁছে উজির আলীকে ধরার জন্য চেষ্টা করতে থাকে।

অন্য দিকে স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত পারভিন আক্তার কে অ্যাম্বুলেন্সে করে মনিরামপুর উপজেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পারভিনের অবস্থা খারাপ থাকায় ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় বর্ত মানে পারভিন আক্তার ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

এদিকে উজির আলী কে ধরার জন্য নেহালপুর পুলিশ সারারাত বিভিন্ন যায়গায় অভিযান করে। পরের দিন ভোর বেলা আয বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানের মধ্যে সজিনা গাছে উজির আলীর মরাদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন নেহালপুর পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে সমম্ত গায়ে রক্ত লেগে থাকা উজির আলীর মরা দেহ গাছ থেকে নামিয়ে আনে।

স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা যানান উজির আলী পেশায় একজন ভ্যান চালক, তার আগে দুইটি স্ত্রী ও চার সন্তান আছে, সে পারভিন আক্তার কে সম্পর্ক করে বিয়ে করে নেহালপুর ভাড়া বাড়িতে থাকতো।

প্রায় টাকা পয়সা নিয়ে উজির আলী ও তার স্ত্রী পারভিন আক্তারের মধ্যে ঝগড়া হতো, তাদের ধারণা এই কারণে তাঁদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

উজির আলীর বড়ো বউয়ের ছেলে তরিকুল ইসলাম বলেন আমার চোখ মা পারভিন আক্তার প্রায় আমার বাবার সাথে ঝগড়া করতো আমার বাবাকে মারধর করতো অনেক সময় গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করতো।

এমনকি আমার ছোট মা আমার বাবাকে তালাক দিয়ে চলে গিছিল। আয থেকে ৮/৯ মাস আগে তারা আবার বিয়ে করে নেহালপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতো। তবে স্থানীয় দের ধারনা পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক চাপে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এব্যাপারে নেহাল পুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল হান্নান কোন ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছিল।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.