সিঙ্গাইরে সাংবাদিক ও রোগীর স্বজনদের হুমকি দিল ডাক্তার।

১০

হাফিজুর রহমান। মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।

মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও স্বজনদের সহ সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন মেডিকেল অফিসার ফারহানা নবী।

জানা যায়, গত শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার বাস্তা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রোগীর ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহ করতে যায় হাসপাতালে। এমন সময় ওই মেডিকেল অফিসার এসে রোগী ও স্বজনদের বলে আপনারা সাংবাদিকদের তথ্য দিচ্ছেন কেন? আমি দেখে নিব আপনাদের কে সার্টিফিকেট দেয়। তারপর তিনি সাংবাদিকদেরও বলেন, আপনারা কার অনুমতি নিয়ে এখানে তথ্য সংগ্রহ বরতে এসেছেন। জানেন, আমি থানায় ফোন দিয়ে আপনাদের ধরিয়ে দিতে পারি। এই বলে তিনি সাংবাদিকদের সহ রোগী ও রোগীর স্বজনদের হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী শামীম হোসেন বলেন, আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারি হলে আমার বাবা-মা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তারা মারামারি বিষয়ে সাংবাদিকদের বক্তব্য দেয়ার সময় মেডিকেল অফিসার ফারহানা নবী এসে আমাকে ও আমার বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে বলে আপনারা সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছেন কেন? আমি দেখে নিব আপনারা কিভাবে মেডিকেল সার্টিফিকেট নেন। এবং কি তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন আপনারা কার অনুমতি নিয়ে এখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছেন। জানেন, আমি আপনাদের পুলিশে দিতে পারি। এ বলে সাংবাদিকদের জোর করে ক্যামেরা বন্ধ করতে বাধ্য করেন।

দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ও চ্যানেল এস টিভির মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আফ্রিদি আহাম্মেদ জানান, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বাস্তা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪ জন আহত হয় এর মধ্যে ২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে আমরা সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ডাঃ ফারহানা নবী আমাদের বাঁধা প্রদান করে এবং বলে কার অনুমতি নিয়ে এখানে এসেছেন। আপনারা আগে অনুমতি নিয়ে আসেন তা না হলে আমি থানায় ফোন দিব। এই বলে একপর্যায়ে আমাদের ক্যামেরা বন্ধ করতে বাধ্য করেন তিনি এবং রোগীর স্বজনদের সার্টিফিকেট আটকে দেবার হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে ডাঃ ফারহানার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে দ্রুত ওয়ার্ড ত্যাগ করে চলে যান এবং তিনি স্টাফদের বলেন সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলার জন্য।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা ভিডিও ধারণ করতে পারেন কোন সমস্যা নাই । তবে অনুমতি নিয়ে গেলে ভালো হয়। অভিযোগের বিষয়ে আমি শুনেছি আমি ঢাকা ডিজি অফিসে ট্রেনিং এ আছি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.