সবার মুখ উজ্জ্বল করলেন ঠাকুরগাঁয়ের ছেলে ড.আজিজুর রহমান সামীম ।

১৮

আবু বক্কর সিদ্দিক,জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও।আবারো মুখ উজ্জল করলেন ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার ১নং ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া মধ্যেপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান আমাদের ড.আজিজুর রহমান (সামীম)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্সের নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

আগামী তিন বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমানকে অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্সের পরিচালক হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ করা হলো। এ আদেশ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ (সোমবার) বিকেলে আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমাদের এই অফিসের কাজ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং ভালো করার চেষ্টা, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কলাবোরেশন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি এবং তাদের দেখাশোনা করা ইত্যাদি। আমি চেষ্টা করবো অফিসের সকল কাজ যেন সুন্দরভাবে হয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল আউটলুক সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করবো। যাতে দেশের বাইরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফাইলটি ভালোভাবে প্রদর্শিত হয়। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিশেষ করে শিক্ষার্থী বিনিময়, যেটা র‌্যাংকিংয়ে প্রভাব ফেলে, এটা নিয়ে কাজ করবো। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং কে এগিয়ে নিতে যাবতীয় করণীয়গুলো বাস্তবায়ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১০ সালে তিনি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১২ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। অধ্যাপক আজিজুর রহমান যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে মাইক্রোবায়াল ডিজিজের উপরে পিএইচডি করার জন্য ২০১৩ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। কোনো কারেকশন ছাড়াই ২০১৭ সালে তিনি তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ২০১৮ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।

এরপর ২০২২ সালে লিভারপুল স্কুল অব মেডিসিনে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে যোগদান করেন। একই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে ২০২৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। ড. আজিজুর ২০২০ থেকে ২২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া, ইউজিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ও টিমে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

পারিবারিক ভাবে উনার পরিবারের সকল সদস্য অত্যান্ত শিক্ষিত ও মার্জিত।

উনার বড় ভাই জনাব সিরাজুল ইসলাম বুলু স্থানীয় গাজীর হাট ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক,
২য় বড় ভাই ডা. নজরুল ইসলাম
অর্নাস ও মাস্টার্স, ফার্মাসিস্ট এবং ভরনিয়া হাট বাজারে সব থেকে বড় ফার্মেসি দোকানের মালিক।

৩য় বড় ভাই জনাব শহিদুল ইসলাম, ভরনিয়া হাট ফুলকুড়ি কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক।
এই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকার ১ম ও বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে অত্যান্ত সুনামের সাথে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

৪র্থ বড় ভাই জনাব মসিদুল ইসলাম
গ্রাজুয়েশন শেষ করে বর্তমানে একটা বেসরকারি ইন্সুইরেন্স কোম্পানীতে কর্মরত আছেন।

ফোন আলাপে উনার বাবা বলেন “ছেলের এই সাফল্যে আমি অনেক খুশি, দেশ ও জাতি গঠনের জন্যই আমার ছেলেদের শিক্ষিত করেছি”।
স্যারের বাবাও একজন শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি হিসাবে এলাকায় বেশ পরিচিত।

 

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.