সাগর হাসান মুক্তার
সব অভিযোগ সরিয়ে রেখে,
চোখের তারায় কাজল মেখে।
তুই আমার খুব কাছাকাছিই থাক,
আসতে পারে হৃদয় ছিঁড়ে ভালোবাসার ডাক।
যতই বুকেই জ্বলুক দহন,
স্মৃতিগুলো বানিয়ে বাহন।
আমাকে তুই সকাল-সন্ধ্যা মনের ভিতর রাখ,
আসতে পারে হঠাৎ করেই ভালোবাসার ডাক।
দুই হৃদয়ের এই দূরত্ব,
গুছে গিয়ে ভারুক খুব গুরুত্ব।
তুই রাত দুপুরে হৃদয় দুয়ার আলতো খুলে রাখ,
আসতে পারে হাওয়ায় উড়ে ভালোবাসার ডাক।
এক জীবনের না মেলা সব হিসেবের খাতা টানবে
যখন বন্ধ করে ক্লান্ত চোখের পাতা।
ডাক পিয়নের পায়ের শব্দে তর অলস দুপুর চমকে কেটে যাক,
যখন তখন আসতে পারে কাঙ্খিত সেই ভালোবাসার ডাক।
ছুঁড়ে ফেলে সব অবহেলা,
সমঝোতায় কাটুক বেলা।
আমার দেওয়া চিঠি গুলো আর কিছুকাল যত্নে তুলে রাখ,
সব ভুল ভাঙ্গার পরে আসতে পারে ভালোবাসার ডাক।
বুকের ভিতর ফুটছে বিষাদ,
তবুও আছে ফিরে পাওয়ার সাধ।
মুছে না ফেলে স্মৃতিগুলো তুই খামচে ধরে থাক,
একদিন সত্যিই ফিরে আসতে পারে ভালোবাসার ডাক।
অভিমানগুলো পুষে না রেখে বাতাসে মিশে যাক,
সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসতে পারে ভালোবাসার ডাক।
তরও জানি লাগছে একা,
খুব দ্রুতই হচ্ছে দেখা।
দুঃখে কাতর না হয়ে তুই আমার মত ঘাপটি মেরে থাক,
বেশি দেরি নেই আসতে পারে ভালোবাসার ডাক।
যতই সময় যাচ্ছে চলে,
পুরনো কথা আসছে ঠেলে।
কষ্টগুলো সঙ্গী করে তোর আর আমার আর কটা দিন এমনি কেটে যাক,
আচমকা একদিন আসতে পারে বাঁধভাঙ্গা সেই ভালোবাসার ডাক।
পুড়ছে হৃদয় আরো পুরুক
বিষন্নতার ওজন ভারুক।
তোর আর আমার জীবন ঘিরে আসুক নেমে হাহাকারের ঝাঁক,
শত বাধার দেয়াল ফুঁড়ে আসতে পারে ভালোবাসার ডাক।
ঝরছে চোখে অশ্রু ঝরুক,
নোনাজলের সাগর গরুক।
কেঁদে কেঁদে দৃষ্টি চোখের ঝাপসা হয়ে যাক,
অতি শীঘ্রই আসতে পারে ভালোবাসার ডাক।