ট্রায়ালের নামে মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও ক্রেতা, দিশাহারা বিক্রেতা ।

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী মহানগরীর অক্ট্রোয় মোড় এলাকা থেকে জুবায়ের আহম্মেদ রিফাদ নামের এক ক্রেতা ট্রায়াল দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) দুপুর আনুমানিক সোয়া ১টার সময় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার দুপুরে রাজশাহী নগরীতে ঘুরতে আসেন পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রেতা শাহজালাল। চারঘাট খুদির বটতলায় লিটন মটরস নামের একটি পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রির শো-রুম রয়েছে তার।

তিনি চারঘাট উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। গাড়ী কেনা বেচার সুত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠে মোহনপুর উপজেলার ত্রিমোহিনীর মোটর মেকানিক্স স্বপনের সাথে। ওই দিন দুপুরে শাহজালাল এর মুঠোফোনে কল দিয়ে চারঘাট খুঁদির বটতলার শো-রুমে আসতে চায় স্বপন। কিন্তুু শাহজালালের বিক্রির গাড়িটা সাথে থাকায় মহানগরীর অক্ট্রোয় মোড়ে ক্রেতা সহ দেখা করে মেকানিক্স স্বপন। ট্রায়ালের নামে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ক্রেতা জুবায়ের আহম্মেদ রিফাদ (২০)। সে পবা উপজেলার মধুসুদনপুর গ্রামের আব্দুল মমিনের একমাত্র ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালো রং এর Gixxer মোটর সাইকেল। যার মডেল- Gixxer Monoton, চ্যাসিস নম্বর- RMBLNG4BW132975, ইঞ্জিন নম্বর- BGA1771703.ক্রেতা জুবায়ের আহম্মেদ রিফাদকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় গাড়িটি ক্রয় করিতে ইচ্ছুক হলে আমার গাড়িটি চালিয়ে দেখতে চাই । স্বপন আলী তাকে গাড়িটি ট্রাইলের জন্য দিলে সে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। অনেক অপেক্ষা করার পরেও সে গাড়িটি নিয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় শাহজালাল বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জুবায়ের আহম্মেদ রিফাদের বাবা আব্দুল মমিন মুঠোফোনে জানান, আমার ছেলে আমার সাথে থাকে না। সে কোথায় থাকে, কি করে তাও আমার জানা নেই। প্রথমে অস্বীকার করলেও কথা বলার এক পর্যায়ে রিফাদ এর আগেও একাধিক মোটরসাইকেল, হেলমেট ও অটো গাড়ী চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়াও সে মাদক সেবন করেন বলেও জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্বপন জানান, বিশ্বাসে ব্যাবসা হয়, আমি বিশ্বাস করে ঠকেছি। আগেও গাড়ী কেনা-বেচা করেছি কিন্তুু এমনটা হবে ভাবতেও পারিনি। আমি গরীব মানুষ, গাড়িটি দ্রুত উদ্ধারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে গাড়ী হারিয়ে দিশাহারা পুরাতন মোটর সাইকেল ব্যাবসায়ী শাহজালাল। তিনি বলেন, লিটন মটরস নামের শো-রুম টি আমার দুলাভায়ের। তার মৃত্যুর পর মাত্র ১ বছর যাবৎ আমি হাল ধরেছি। এরই মধ্যে বড় ধরনের অঘটন ঘটে গেলো। এ বিষয়ে মতিহার থানায় লিখত অভিযোগের পর জুবায়ের আহম্মেদ রিফাদের বাবা আব্দুল মমিন মোটরসাইকেল বের করে দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময় নিয়েছিলেন যা গতকাল শেষ হয়েছে। কিন্তুু কোন ব্যাবস্থা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ এর ব্যাবহৃত সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.