মোঃ আমির হোসেন, হাতিয়া প্রতিনিধি
হাতিয়া উপকূলের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আগেই যেন সংস্কার হয় বেড়িবাঁধ।
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা একটি দ্বীপ এলাকা।চারিপাশে নদী বেষ্টিত এলাকায় বসবাস প্রায় সাত লক্ষ মানুষের। নদীর ঢেউ আর কলকল শব্দ শুনে বেড়ে উঠা মানুষ গুলো। তার সাথে নদীর কাছে থাকা লাখো পরিবার যুদ্ধ করে প্রতি বছর জোয়ারের পানির সাথে।
প্রতি বছর নানা রকম সুন্দর নাম আইলা,নার্গিস,ইয়াস দেয়া হয় বন্য বা জলোচ্ছ্বাস গুলোর। সেই সুন্দর নামগুলো শুনলে কেঁপে উড়ে লাখো মানুষের প্রাণ। এই বুঝি ভাসিয়ে নিয়ে গেল,এই বুঝি সব কিছুর ক্ষতি হয়ে গেল।
অনেক বেড়িবাঁধ নদী ভাঙ্গনের ফলে ভেঙে যায়।অনেক বেড়িবাঁধ বৃষ্টির কারণে জোয়ারে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।তাই সময় মতো মেরামত না হলে ঘটে দূর্ঘটনা।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যদিও আক্রমণ করে নাই তবুও তার প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে ক্ষতি হয় হাজারো মানুষের।এতে নষ্ট হয় ফসল,পুকুর মাছ,ঘর-বাড়ি সহ মানুষের প্রাণ।
হাতিয়ায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে হরেক রকম নেতাকে মাঠে দেখা যায়।ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দুই এক জন ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি।
সাগরে প্রায় নিম্ন চাপ থাকে জোয়ারের পানি বেড়ে যায়। আজো কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়।অতি দূত বেড়িবাঁধ গুলো সংস্করণ করা না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, কিছু গ্রামবাসী নদীর ঢেউ পিঠে নিয়ে বাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা করছে কিন্তু এভাবে আর কত।সামনে ভালো ভাবে বাঁধ নির্মাণ না হলে হয়তো হাজারো ঢেউ বুকে নিলেও উপকূল বাসীকে রক্ষা করা যাবে না। তাই সময় উপযোগী টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।
তাই হাতিয়ার প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে লাখো মানুষ।সমাধানের স্বপ্ন না দেখিয়ে,
আশা করি অতি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবেই।
তবেই রক্ষা পাবে দ্বীপের মানুষ এবং সম্পদ।