কাউনিয়ার তিস্তা ভাঙন কবলিত গ্রাম পরিদর্শনে করলেন তিস্তা বাঁচা নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

১১

সোহেল রানা পীরগাছা (রংপুর)

১০ জুলাই দিনব্যাপী কাউনিয়া,রংপুরের টেপামধুপুর ইউনিয়নের তিস্তা তীরের ভাঙন কবলিত সমৃদ্ধ গ্রাম চরগোনাই,গনাই,বিশ্বনাথ ও হয়বত খাঁ পরিদর্শন করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।পরিদর্শনকালে এলাকার শতশত নারীপুরুষ নেতৃবৃন্দকে বলেন,’ তিস্তার বুক বালুর স্তুপে সমতলের চেয়েও অনেক উঁচু হয়ে গেছে।তিস্তার বুক দিয়ে পানি যেতে পারছেনা।তিস্তার মূল প্রবাহ গতিপথ পরিবর্তন করে চরগোনাই থেকে একটি চ্যুট চ্যানেল ( নতুন ঠ্যাং) সৃষ্টি হয়েছে।ওই চ্যুট চ্যানেল দিয়ে তিস্তা গতিপথ পরিবর্তন করে প্রবল বেগে ঢুকে পড়ছে চরগনাই, গনাই,বিশ্বনাথ ও হয়বত খাঁ গ্রামের তীর ঘেঁষে।ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ।
চরগোনোই – এ সৃষ্ট চ্যুট চ্যানেল – এর প্রবাহ মূখ জিও টিউব ডাম্পিং করে এক্ষুণি বন্ধ করা না গেলে ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে বর্ণিত গ্রামের হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি,কয়েক হাজার কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মন্দির,পাঁকা সড়কপথ,বিদ্যুৎের খুটি, গনাই বাজারসহ হাজার কোটি টাকার সম্পদ।উদ্বাস্তু হবেন কমপক্ষে কুড়ি হাজার মানুষ।মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম আমাকে বলেন,যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো কাজটি সমাধান করতে পারলে ভাঙনের কবল থেকে গ্রামগুলোকে আপাতত রক্ষা করা সম্ভব।স্থায়ী সমাধান- ” তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই।” আমরা স্পট থেকে রংপুর জেলা প্রশাসক,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন করে এলাকার নাজুক পরিস্থিতির কথা বলি।তারা বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।কথোপকথনের মাঝেই স্পটে আসেন সময় টিভির বংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান রতন সরকার।তিনি স্পট থেকে এলাকার চালচিত্র সরাসরি লাইভ করেন।এসময় শতশত জনতা নদীপারের রাস্তায় মানবপ্রাচীর তৈরি করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন,
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জনাব নজরুল ইসলাম হক্কানী সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান,স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বখতিয়ার হোসেন শিশির,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশিকুর রহমান,আশরাফুল ইসলামসহ সংগঠনের উপজেলা ও ইউনিয়নের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.