ঈদগাঁওতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি।

মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার। ঈদগাঁওবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতি হয়েছে তিনটি। আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে বাঁশঘাটা এলাকায় আকস্মিক এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে মনে করছেন দমকল বাহিনী।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আসবাবপত্রের কারখানা, শো- রুম ও হার্ডওয়ারের দোকান। আসবাবপত্র তৈরীর একটি কারখানা থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানান মালিকপক্ষ। অন্যতম মালিক ফরিদুল আলম জানান, এতে ফরিদ ফার্নিচার মার্ট সহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দুর্ঘটনায় ৩৬ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাশেদা গণের ১১ টি এবং নুরুল আলমগণের ১১ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

রামু ও চকরিয়া থেকে দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট এসে জনগণের সহায়তায় প্রায় এক ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। রামু ফায়ার স্টেশন অফিসের লিডার মোঃ হাসান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছি। দুর্ঘটনায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ২৮ টি। তবে কোথা থেকে কি কারনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। অগ্নিকান্ড চলাকালে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের মধ্যে রয়েছে নির্মানাধীন ও তৈরিকৃত আসবাবপত্র, আসবাবপত্র তৈরির যন্ত্রপাতি ও মজুদকৃত তিন হাজার ঘনফুট গোল ও চিরাই কাঠ।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন আহমদ জানান, কোথা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। তবে একটি কারখানা থেকে এ দুর্ঘটনার শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদুল আলম ও রাশেদা গণ। খবর পেয়ে রামু- কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল, জালালাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ঈদগাঁও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক ও দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হচ্ছে। চরম ক্ষতিগ্রস্ত ফরিদ সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ পুড়ে যাওয়া টিন, গাছগাছালি, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.