IOT বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে এক সম্ভাবনার নাম

৩১

ডেস্ক রিপোর্টঃ ইন্টারনেট অব থিংস কে সংক্ষেপে IOT( আইওটি)বলে। যার বাংলা অর্থ হল বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ।

বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা জিনিসপত্রকে অটোমেটিক করার জ‍ন‍্য এসবের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কাপড় ধোয়ার মেশিন। কাপড়ের পরিমান এবং ওজন বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করে কাপড় ধোয়ার কাজটি অটোমেটিক ভাবে করার জন‍্য এই মেশিনের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে, যাকে আমরা এমবেডেড সিস্টেম(Embedded System) বলি।

জিনিসপত্রের এই কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে আমরা তাকে বলছি ইন্টারনেট সংযোজিত জিনিসপত্র বা ইন্টারনেট অব থিংস। এই প্রযুক্তিতে আমাদের ঘরের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ, লাইট এগুলো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নেটওয়ার্কের এর সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।[১][২] নিকটবর্তী ভবিষ্যতে 200 বিলিয়ন ডিভাইসের সাথে যুক্ত হওয়ার অনুমান রয়েছে। বাজারের মূল্য 80 বিলিয়ন ডলারে অনুমান করা হয়

আইওটি কম্পোনেন্টগুলো হলো-

🔘পিপলস
🔘ইনফ্রাস্ট্রাকচার
🔘থিংস
🔘প্রসেস
🔘ডাটা
পিপলস: পিপলস হলো যারা আইওটি ডিভাইসগুলো ব্যবহার করবে ।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার: ইনফ্রাস্ট্রাকচার হলো ইন্টারনেট কানেকশন ।

থিংস: থিংস হলো যে ডিভাইসগুলো কানেক্টড থাকবে । যেমন- ক্যামেরা, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ।

প্রসেস: যে পদ্ধতি এই থিংসগুলো কানেক্টড থাকবে ।

ডাটা: এই প্রসেস এর সকল তথ্য যেখানে জমা থাকবে । যেমন- এপ।

বাংলাদেশের বৃহৎ পযুক্তি কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে কিছু সফল IOT প্রযুক্তির সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে। তারমধ্যে
১. মক্কার পানি সমস্যা সমাধান দিয়েছে বাংলাদেশের ড্যাটাসফট।
২.কংগো ব্রীজের টোল উঠানোর জন্য IOT সেবা দিচ্ছে ডাটাসফট।
৩.খেতে কখন কি সার লাগবে আইওটি (IOT) এর সহায়তায় কৃষকদের সেবা দিতে যাচ্ছে সরকার।
৪. বাসায় পানি, গ্যাস লিকেজ করলে বা অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে বাড়ির মালিকের মোবাইলে এলার্ট চলে যাবার মাধ্যমে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা সেবা দেওয়া হচ্ছে আইওটি(IOT) দিয়ে ।
৫. দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনে চালু করেছে স্মার্ট ফার্ম নামে আইওটির (IOT) মাধ্যমে গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসেবা সার্ভিস।
৬.বাংলাদেশে হিটাচি ব্র‍্যান্ডের নতুন এসিকে IOT এর সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, নষ্ট হলে ঠিক করা যাবে।
ডাটাসফট, বাংলা ট্রাক,গ্রামীণফোন এই IOT প্রযুক্তি জগতে এক অভূতপূর্ব সাফল্য সৃষ্টি করেছে। বেকার সমস্যা সমাধান ও নতুন অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিচ্ছে আইওটি।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আইটি একটি সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে। এজন্যে তাদের ইলেকট্রনিক ও মাইক্রোককন্ট্রোলার উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

লেখক,
ইঞ্জিঃ আল আকরাম।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.