মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গতকাল সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া গুম-খুনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। গত রোববার তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে ও বিচারের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। আইনে যেসব দুর্বলতা ছিল এবং আন্তর্জাতিকভাবে যে প্রশ্নগুলো আইনটির বিষয়ে তোলা হতো, সেসবের সমাধান করে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে আগে ওই আইনে বিচার করা যেত না। এখন সংশোধিত আইনে মেম্বার অব ডিসিপ্লিনারি ফোর্স বা তিন বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আনসার বাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, আগে প্রসিকিউশন সীমিত নথিপত্র ডিফেন্সকে দিতে পারত। এখন আদালতের অনুমতি নিয়ে যেকোনো নথিপত্র চাইলে পাবে। আগে শুনানির সময় আসামিপক্ষকে তার সব সাফাই সাক্ষীর তালিকা দিতে হতো। এখন বিচারের যেকোনো সময় সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পারবে ডিফেন্স। সংশোধিত আইনে গুমের অপরাধের বিচার এই ট্রাইব্যুনালে করা যাবে। এ ছাড়া আগের আইনে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান না থাকলেও সংশোধিত আইনে তা রাখা হয়েছে। অপরাধীর যদি সম্পদ থাকে, কিংবা রাষ্ট্র থেকে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে।
প্রসিকিউটর বলেন, বিচারের কোনো পর্যায়ে যদি বোঝা যায় যে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এ আইনের আওতায় পড়ে না, তবে ট্রাইব্যুনাল তা নিয়মিত আদালতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া অন্যান্য আইন থাকায় এ আইনে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনতে কোনো বিধান রাখা হয়নি।
da/iN