বিএনপি ক্ষমতায় এলে পড়াশোনা শেষে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এক বছর পর্যন্ত রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের (ইউবিআই) কার্যকারিতা মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, অর্থ পাচার ও দুর্নীতি মোকাবিলা করা এখন প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা আদৌ নিয়ন্ত্রণ বা কমানো সম্ভব কি না– এ নিয়ে অনেক সংশয় রয়েছে। তবে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি থাকলে এ ধরনের কার্যক্রম চালানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দুর্নীতির কারণে অর্থের অপচয় বন্ধ করতে পারলে রিসোর্সের কোনো সমস্যা হবে না। মানুষকে সেবা দিলে কর আদায় অনেক সহজ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বড় পরিবর্তন এসেছে। যেসব রাজনৈতিক দল বা নেতা এ পরিবর্তন বুঝতে পারবেন না, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিবেচনায় বিএনপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতের ওপর। আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ারের কথা বলেছি। এটা ইউকের মডেলে করা। বাংলাদেশের চিকিৎসার খরচ আফগানিস্তানের চেয়েও বেশি। এ মডেল বাস্তবায়ন হলে মানুষের খরচ অনেক কমে আসবে। আর এতে করে আয় বৈষম্য কমে আসবে।
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য পড়াশোনা শেষে এক বছর পর্যন্ত রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত আছে বলে জানান আমীর খসরু।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ২৪ লাখ মানুষ কর দেন অথচ ১ কোটিরও বেশি মানুষের ক্রেডিট কার্ড আছে। বিরাট একটা অংশের মানুষ কর দিচ্ছেন না, এটা বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, পাচার ও দুর্নীতি মোকাবিলা করতে পারব কি না, এটাই প্রধান সমস্যা। এটা মোকাবিলা করা গেলে ন্যূনতম মজুরিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
da/iN