মহেশপুরে দুদিনে মিলল ৩টি রাসেলস ভাইপার

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার।

ভারতের ইছামতি নদী আর ২৪ পরগনা ও নদীয়া জেলার সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা। আর সীমান্তবর্তী ভবনগর ও পেপুল বাড়ীয়া গ্রাম। গত দুদিনের ব্যবধানে ৩টি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ২টি সাপ এলাকাবাসী পিটিয়ে মেরেছে আর ১টি সাপ বন অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে দু’দিনে ৩টি রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মেলায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এখন গ্রামের কৃষকরাও দিনে-রাতে মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছে।

সীমান্তবর্তী ভবনগর গ্রামের নাজমুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের ইছামতি নদীতে মাছ ধরার জন্য দুয়ারি (চেড়) পাতেন স্বরুপপুর ইউনিয়নের পেপুলবাড়ীয়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন। পরে বিকালে ইছামতি নদীতে পাতা দুয়ারি (চেড়) তুলতে গেলে তার দুয়ারীর মধ্যে মাছের পরিবর্তে ১টি বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পান তিনি। পরে তিনি সাপটি দুয়ারির মধ্যে করেই ধরে নিয়ে আসেন। সাপ ধরার খবর দেওয়া হয় মহেশপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে।

তিনি আরও জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম সাপটি নিয়ে যান বনে অবমুক্ত করার জন্য।

একই দিনে নেপা ইউনিয়নের মাইলবাড়ীয়া গ্রামের শিশুরা মাঠে খেলা করার সময় একটি সাপ দেখতে পেয়ে চিল্লাতে শুরু করে। পরে এলাকার লোকজন এসে রাসেলস ভাইপার সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

নেপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, শুক্রবার সকালে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন কাঞ্চনপুর-হুদাপাড়া গ্রামের কৃষকরা ফুলের ক্ষেতে কাজ করার সময় ফুলের ক্ষেতের মধ্যে ১টি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পান। পরে সাপটিকে তারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

স্বরুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ভারতের ইছামতি নদী সংলগ্ন গ্রামের মাঠগুলোতে এই রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে বেশি।

মহেশপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্যই আমরা জনগণকে সচেনত করছি। সাপগুলোকে না মেরে আমাদেরকে খবর দিলে আমরাই নিয়ে আসবো।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment