বারহাট্টায় থানা ৮০ বস্তুায় চাল আটক।

ওমর ফারুক আহম্মদ (নেত্রকোনা প্রতিনিধি)। নেত্রকোণার বারহাট্টায় গভীর রাতে সেলু ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে করে পরিবহনের সময় ৮০ বস্তা চাল আটক করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাউসী রূপগঞ্জবাজারে এলাকার সড়কে হ্যান্ডট্রলি ভর্তি চাল ও ট্রলির চালককে আটক করেন স্থানীয় জনতা।

খবর পেয়ে পুলিশ চাল, ট্রলি ও এর চালককে থানায় নেয় বলে জানান, বারহাট্টা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।তবে চালগুলোর প্রকৃত মালিক কে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।ট্রলির চালক বাপ্পী মিয়া (২৭) জেলা সদরের বাইশদার গ্রামের বাসিন্দা।রাতে চালের ট্রলি আটকের সময় এলাকাবাসীর মধ্যে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সুলতান আহমেদ নূরীর ছেলে সৈকত আহমেদ নূরী।সৈকত আহমেদ নূরীর দাবি- এ গুলো ভিজিএফের সরকারি চাল।

এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।সৈকত আহমেদ নূরী বলেন, “আটক করার সময় হ্যান্ডট্রলি চালককে আমরা জিজ্ঞেস করে জেনেছি- চালগুলো ভিজিএফের।“ঈদ উপলক্ষে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দুস্থদের বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল এগুলো।কিন্তু চেয়ারম্যান চালগুলো বিতরণ না করে রাতের আঁধারে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছিলেন।

সৈকত আহমেদ নূরীর আর বলেন যে পুলিশ
আটককৃত হেল্পার বলছে যে চাল গুলো রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আনা,রাজু ভাই ও তার ভাইয়ের চাল এইগুলা,তারা ঠাকুরাকোণা গুদামে নিয়ে চাচ্ছিলো।আমার উপর যে আক্রমণ করা হইছে অবৈধ চাল নিয়ে যাওয়ার জন্য তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে টাকার প্রলোভন দেখাইছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য,রাজি হই নাই বিধায় আক্রমণ করছে আমাদেরকে মেরেই নিয়ে যাবে অবৈধ চাল যা পরেনি পুলিশ হাতে তুলে দেই।রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু বলেন, “আমার ইউনিয়নে আসা বরাদ্দ চাল ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে সঠিকভাবে বণ্টন করেছি। জব্দ চাল কার এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

আমি উক্ত বিষয় টি বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি স্যারকে জানাই।এবং আমি উক্ত আমার ইউনিয়ন আসা বরাদ্দ চাল যথাযথ বিতরণের কাগজপত্র দেখিয়েছেন বারহাট্টা থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম কে।শুক্রবার দুপুরে বারহাট্টা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সৈকত আহমেদ নূরী রায়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ওসি বলেন,গতরাতে চাল ভর্তি হ্যান্ডট্রলি আটক করেন এলাকাবাসী। এতে ৫০ কেজির ৮০ বস্তা চাল রয়েছে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল ভর্তি হ্যান্ডট্রলি ও এর চালককে থানায় নিয়ে আসে। এগুলো কীসের চাল এখনও জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট রায়পুরে চেয়ারম্যান তার বরাদ্দের চাল যথাযথ বিতরণের কাগজপত্র দেখিয়েছেন।”তিনি আরও বলেন, “ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে, উপজেলার আসমা ইউনিয়নেও সরকারী চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের কোন কোন সদস্য ভূয়া স্লিপের মাধ্যমে চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রয় করেছেন বলে অভিযোগে জানা যায়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম ছন্দু জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বারহাট্টার ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি জানান, কোনো সরকারি বস্তায় না থাকায় সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না চালগুলো আসলে কীসের। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment