পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি, চরম কষ্টে জনজীবন।

আল মামুন ,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ।

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে আষাঢ় মাসে কাঠফাটা রোদ, তীব্র গরমের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। কয়েক দিন ধরে এলাকাভেদে দিনে ও রাতে চৌদ্দ-পনের ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পরও আসছে। এতে প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫-৬: বার লোডশেডিং হয়েছে। তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরমে ঘরে থেকেও গা ঘামছে। ফ্যানের বাতাসও স্বস্তি দিতে পারছে না। এ নিয়ে গ্রাহক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে।

চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকছে।

সাদিকপুর গ্রামের জীবন আহম্মেদ (বাবু) জানান, ৩ দিন ধরে দিনে রাতে কতবার যে বিদ্যুৎ গেছে তার হিসাব নেই। গত রাতেই চার-পাঁচবার লোডশেডিং হয়েছে। গরমের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। সারারাত হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়েছে।

অটো ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলী জানান, ভ্যান চালিয়ে সংসার চলে। বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যানের ব্যাটারি চার্জ দিতে পারছি না। ভাড়া খাটতে পারছি না। এখন সংসার চালানোই দায়।

ঝিনাইদাহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-এর কালিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম বলেন, জ্বালানি সংকট, পাওয়ার প্লান্টের সমস্যার কারণে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। দিনে চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট, পাওয়া যাচ্ছে ৯-১০ মেগাওয়াট। একইভাবে রাতে ২৪ মেগাওয়াটের স্থলে মিলছে ১১-১২ মেগাওয়াট। তবে সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment