গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারাকান্দায় আওয়ামী লীগের কর্মীর উপর দূর্বৃত্তের অতর্কিত হামলা।

প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম তারাকান্দা,(ময়মনসিংহ) সংবাদদাতাঃ- গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারাকান্দায় আওয়ামী লীগের কর্মীর উপর দূর্বৃত্তের অতর্কিত হামলা হয় ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৬নং ঢাকুয়া ইউনিয়নের হরিয়াগাই বাজারে। গত ১৩ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সময় ৬ঃ৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছিলো।

এ ব্যপারে তারাকান্দা থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ শহিদ মিয়া (৫৫)। তিনি ৬নং ঢাকুয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। সরেজমিনে জানা যায় যে, পাথারিয়া গ্রামের মোঃ শহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৩০) গত ১৩ ইং (রোজ বৃহস্পতিবার) স্থানীয় হরিয়াগাই বাজারে কিনাকাটার উদ্দেশ্যে বাজারে আসে এবং কিনাকাটা শেষ করে হরিয়াগাই বাজারে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন জৈনিক চানু মিয়া নামের একটি চা’ষ্টোলে বসে সন্ধ্যার দিকে চা পান করছিলেন সেলিম মিয়া।

৬ নং ঢাকুয়া ইউনিয়নের লোনহালা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আজিজুল (৩০) এবং মোঃ সাইন উদ্দিন মীর (৩২) পিতা মোঃ নছর আলী মীর উভয় রংঙ্গের কান্দা গ্রামের মোঃ আমীরুল ইসলাম (৩৬) পিতা-মোঃ সেলু মিয়া একত্রে মিলে জৈনিক চানু মিয়ার দোকানে সন্ধ্যায় চা পানের সময় তারা তিন জনে মোঃসেলিম মিয়াকে ডাক দেন জরুরি কথা আছে বলে। ঈদগাহ মাঠের উত্তর পাশে তাদের সাথে কথা বলার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে মোঃ সেলিম মিয়া আরো অজ্ঞাত তিন চারজনকে দেখতে পায় ভংকর রুপে।

তখন সেলিম মিয়া বিষটি বুঝতে পেরে জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টার সময় অজ্ঞাত নামা তিন জনসহ বিবাদীর তিন জন সেলিম মিয়াকে বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রচন্ড গতিতে এলোপাতাড়ি বারি, কিল- ঘুসিসহ শ্বাসরুদ্ধকরে ধরে ছুড়ি দিয়া হত্যা চেষ্টা করলে তখন নিজ প্রাণ বাঁচাতে সেলিম মিয়া তাদের ছয় জনের সাথে ঝাপ্টা জাপ্টি করে এবং বাঁচাও বাঁচাও বলে স্বজোড়ে ডাক চিৎকার করতে থাকে তখন বাজারের লোকজন বিকট অর্তকিত চিৎকার শুনে সেলিম মিয়া’কে বাঁচাতে এসে সেখানে দেখতে পান রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মোঃ সেলিম মিয়া’কে। ঘটনা স্থলে স্থানীয় লোকজন পৌছার আগেই অজ্ঞাত নামা তিনজনসহ বিবাদী তিন জন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মোঃ সেলিম মিয়া’কে রক্তান্ত অবস্থায় সিএনজি করে তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

এদিকে নিজের ছেলের এই গুরুতর জখম রক্তাক্ত অবস্থার খবর শুনে দ্রুত চলে আসে সেলিম মিয়া বাবা মোঃ শহিদ মিয়া। মোঃ শহিদ মিয়া নিজের ছেলের এই গুরুতর জখম রক্তাক্ত অবস্থা দেখে জরুরি করে সিএনজি যোগে নিকট আত্মীয় কয়েকজনসহ, সেলিম মিয়ার বন্ধুদের সাথে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

তারপর সেলিম মিয়া’র বাবা মোঃ শহিদ মিয়া তারাকান্দা থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বিবাদী করা হয় তিন জনসহ আরোও অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে। বিবাদীরা হলেন ১। মোঃ আজিজুল ইসলাম(৩০), পিতা- মৃত ফয়েজ উদ্দিনে গ্রাম লোনহালা, ২। মোঃ সাইন উদ্দিন মীর (৩২), পিতা- মোঃ নছর আলী মীর ৩। মোঃ আমিরুল ইসলাম (৩৬), পিতা- মোঃ সেলু মিয়া উভয়ের গ্রাম রঙ্গেরকান্দা, ৬নং ঢাকুয়া ইউনিয়ন, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ। ঘটনার স্বাক্ষী ১। মোঃ রফিক মিয়া (২৮), পিতা- সেকান্দর আলী, ২। মোঃ রিয়াদ মিয়া (২৫), পিতা- মোঃ শফিউল্লাহ উভয়ের গ্রাম লোনহালা এবং ৩। জুলহাস মিয়া(২৫), পিতা- মোঃ নাজিম উদ্দীন গ্রাম গীর্দাপাড়া, ঢাকুয়া ইউনিয়ন, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ। জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার সংবাদদাতা এই গুরুতর জখম রক্তাক্ত অবস্থার কারণ জানতে চাইলে আহত ছেলের বাবাসহ তার সকল বন্ধুরা বলে এঘটনার কারণ হলো গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

নির্বাচনের সময় নির্বাচনীয় মাঠে কাজ করতে গেল আমরা বিএনপি’র কর্মীদের কাছে বাধাগ্রস্ত হই এবং তা প্রতিহত করেছিলাম। সেই রাগ-জ্বিদ কে কেন্দ্র করে আজকের এই নগ্ন ঘটনার জন্ম। ঐ হামলা কারী আজিজুল ইসলাম ও তারা বন্ধুদের অত্যাচারে আওয়ামী লীগ কর্মী ছেলেরা সব সময় প্রাণ নাশের হুমকির শিকার হয়ে থাকে। এলাকার লোকজন তাদের গুন্ডা বলে ডাকে এমনটায় বলছিলেন মোঃ শহিদ মিয়াসহ আহত সেলিম মিয়ার বন্ধুরা সকলে। তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন এমনটায় জানিয়েছেন তিনি।

বাদীর পক্ষের লোকেরা বলছেন এ ব্যপারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান শরীফ আহমেদ এমপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওসি সাহের সাথে এ ব্যপারে মোঠফোনে কথা বলিয়েছেন। বিষয়টি ৬ নং ঢাকুয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম দেখন বলে কথা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত পরিবারের মা-বাবার সাথে ও তাদের বন্ধুদের সাথে ।

অহত সেলিম মিয়া ও তার বন্ধু’রা বলছেন আজ আমরা আওয়ামী লীগ করি বলে এ অবস্থা, জীবনের নিরাপত্তার বিষয়ে দায়িত্ব কে নিবেন প্রশ্ন আওয়ামী কর্মী শত তরুণদের। কেন আজ শরীফ আহমেদ ভাই ওসির সাথে ফোনে কথা বলার পরেও বিবাদীদের পুলিশ ধরছেন না।

তারা প্রকাশ্যে হরিগাই বাজারে বুক ফুলিয়ে ঘুরাফেরা করছেন। এগুলি কোন অদৃশ্যের শক্তির কারন ৬নং ঢাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের হাজার কর্মীরা জানতে চায়। শরীফ আহমেদ এমপি সাহেব বলার পরেও কার শক্তিশালী হাত কাজ করছে ঐ ঘাতকদের সাথে এমনটা জানিয়েছেন আহতের পরিবারসহ আওয়ামী লীগ কর্মী সেলিমের বন্ধুরা।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment