সাকিবের সাদামাটা পারফরম্যান্সে ও কলকাতার জয়।

মেহেদী হাসান সজীব, খেলা ডেস্কঃ

আইপিএলের ১৪তম আসরের তৃতীয় ম্যাচ এবং নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০ রানের জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুতে টসে হেরে নীতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠির জোড়া ফিফটিতে ভর করে ১৮৭/৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুতে ৭ ওভারে দলের ৫৩ রানের সময় ফেরেন ওপেনার শুভমন গিল (১৫)। এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা রাহুল ত্রিপাঠিকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন রানা।

১৫.১ ওভারে এক উইকেটে ১৪৬ রান করে বড় স্কোর গড়ার আভাস দিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। দলীয় ১৪৬ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ত্রিপাঠি। তার আগে ২৯ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করা আন্দ্রে রাসেল ফেরেন ৫ বলে মাত্র ৫ রান করে। ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটিং করা নীতিশ রানা ৫৬ বলে ৯টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান। ৩ বলে ২ রানে ফেরেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৪ বল আগে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫ বলে করেন মাত্র ৩ রান। শেষ দিকে ৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২২ রান করেন দিনেশ কার্তিক। শেষ দিকে তার বিধ্বংসী ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান করে কেকেআর।

এদিকে ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পরে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। শুরুতেই দলীয় ১০ রানে ব্যাক্তিগত ৪ বলে ৩রান করে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। এরপরের ওবারেই সাকিবের বলে ৭বলে ৬ রান করে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। পরবর্তীতে জনি বেয়ারস্টো এবং মানেশ পান্ডে মিলে ৯২ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। জনি বেয়ারস্টো ফিরে যাওয়ার আগে ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে বল অনুপাতে তেমন ভাবে রান তুলতে পারেন নি হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানেরা। মানেশ পান্ডে একাই লড়াই করে ৪৪ বলে করেন ৬১ রান। শেষ দিকে আব্দুল সামাদ ৮ বলে ২০ রান করে জয়ের ব্যবধান কমান। এর আগে মোহাম্মাদ নবী করেন ১১ বলে ১৪ রান এবং বিজয় সংঙ্কর ৭ বলে ১১ রান। শেষ পর্যন্ত সবমিলিয়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওবারে ১৭৭ রানে শেষ করেন তাদের ইনিংস এবং ফলে কলকাতা ১০ রানের জয় পেয়েছে।

এদিকে আজ ব্যাটিংয়ে কিছু করে দেখাতে না পারলেও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে যান সাকিব। তার প্রথম বলে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন ঋদ্ধিমান সাহা। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন সাকিব। পরের ওভারে অবশ্য সুবিধা করা যায়নি। জনি বেয়ারস্টো ইনসাইড আউটে তাকে হাঁকান ছক্কা, মানেশ পান্ডেও বের করেন বাউন্ডারি। আরও দুই সিঙ্গেলসহ আসে ১২ রান। তৃতীয় ওভারেও এক ছক্কা খেয়ে দেন ১০ রান। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় স্পেলে শেষ ওভারটি করতে এসেও এক ছক্কায় দেন আরও ১১ রান। তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-৩৪-১।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment