প্রত্যন্ত অঞ্চলে কার্পেট হাউসে নারীদের কর্মসংস্থান

ওমর ফারুক, ব্যুরো প্রধান রংপুর,

সবাই মিলে কাজ করি, স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ি, এটা শুধ স্লোগান নয়,বাস্তবায়নের দীর্ঘশ্বাস স্বপ্ন পূরণের আহবান,

দিনে দিনে বাড়ছে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির ব্যবহার, সমতায় নারীদের অগ্রগতি শতাংশ পেরিয়ে ছড়িয়ে গেছে সকল স্তরে সবখানে সমানভাবে।

নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চেংমারী সরদার পাড়ায় গড়ে তুলছেন স্বপ্না কার্রপেট হাউস,এখানে প্রায় ৪০ জন নারী শ্রমিক কাজের সুযোগ পেয়েছে, তারা জানায় হাউসে কাজ করে পারিবারিক ভাবে সচ্ছলতা ও সাংসারিক সমৃদ্ধি উন্নয়ন কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে।

বাড়ির পাশে এ রকম কারখানা হবে কখনো চিন্তা ভাবনা করি নাই, এ জন্য হামাক আর বায়রোত যাবার নাগে না,উত্তরা ইপিজেড যাওয়ার চেষ্টাও করি না। অল্প সল্প বেতন হলেও বাড়িতে খেয়ে দেয়ে,হাটি কারখান চলে আসি,সন্তানকে দেখাশোনা করতেছি,ক্ষেত খামারও পরিচর্যা করা যায়ছে, এমন কথা গুলো গুছিয়ে বলেন শ্রমিক উম্মে সালমা, রুমি শরিফা,জান্নাতি, রুপালি,স্নিগ্ধধা,রুবিনাসহ আরো অনেকে। কারখানায় ট্রেইনার হিসেবে কাজ শেখাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ফরিদ।

আলোচনার ফাঁকে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহানাজ পারভীন শোমার সাক্ষাৎ না হলে ফোনে কথা বললে, প্রশ্নে তিনি জানান আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ কারখানা টি নিজস্ব অর্থাৎয়নে পরিচালনা করছি, লক্ষ উদ্দেশ্য একটি যাতে এলাকার মানুষ কর্মনির্ভর হয়, বাড়িতে দুমোটো খেয়ে এখানে কাজ করতে পারে বাইরে যেতে না,পরিবারকে সহায়তা করতে পারে। নারীরা যাতে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে।

অনদিকে তারা কাজে যে কার্রপেট পা পোষ তৈরি করছে সেগুলো বাজারজাত করে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে..যা নমনীয় ও সুন্দর করে তৈরি হয়ে থাকে,একটি কার্রপেট কর্মীরা মূল্য পায় ৬- ৮ টাকা হরে,তবে বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইন থাকায়।

তিনি আরো জানান আগামী দিনে এর সফলতা আসলে, ফলাফল যদি ভালো ও উন্নত হয়, তবে পরিকল্পনা রয়েছে,কারখানায় আরো কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর, এবং এই প্রত্যন্ত এলাকায় যেন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উন্নয়ন হয়।

100% LikesVS
0% Dislikes
Comments (০)
Add Comment