গ্রেফতার হলো খায়রুল বাশার সুমন হত্যার প্রধান আসামী

 

মোঃ সাইফুল ইসলাম

Rab – ১১, সিপিসি -২ এর একটি অভিযানিক চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৭ই মে ভোর রাতে কুমিল্লা জেলার দক্ষিন থানাধীন পাদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

উক্ত অভিযানে সদর থানায় দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর কুমিল্লা ইপিজেডের সিং সাং সু কোম্পানির এইচ আর কর্মকর্তা খায়রুল বাশার সুমনের হত্যাকারীর প্রধান পলাতক আসামি মহিউদ্দীনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি হলো কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী মডেল থানার দক্ষিন চর্থা গ্রামের মৃত আবদুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন।

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় মহিউদ্দিনসহ আরো ৭/৮ জন পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের এই কিলার মিশনে অংশ নেয়।
গতো ৩০/০৪/২০২১ তারিখে অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা করার দায়ে চাকরিচ্যূত করায় এইচ আর কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে এই সংঘবদ্ধ বিপদগামী দলটি।

খায়রুল বাশার সুমন কাজ করতেন কুমিল্লা ইপিজেডের সিং সাং সু নামে একটি চায়না কোম্পানির এইচ আর কর্মকর্তা হিসাবে।
কোম্পানির কর্মচারী মহিউদ্দিনসহ আরো অনেক কর্মচারীর মধ্যে অনিয়ম আর কাজের মধ্যে বহু গড়মিল ধরা পড়ে এইচ আর কর্মকর্তা খায়রুল বাশার সুমনের কাছে।

অনিয়মকারীদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনা এবং বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে এইচ আর সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক চাকরিচ্যূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতো ৩০/০৪/২০২১ তারিখ বিকালে নিজ কর্মস্হল শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা ইপিজেড গেট সংলগ্ন রোসা ও স্বপ্ন সুপার শপের সামনে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে খায়রুল বাশার সুমনকে।

দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও পথিমধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই মারা যান এইচ আর কর্মকর্তা খায়রুল বাশার সুমন।
নিহত খায়রুল বাশার সুমন কুমিল্লার দক্ষিন সদর উপজেলার গালিয়ারা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের মোহাম্মদ মমিন মাস্টারের তৃতীয় ছেলে।

দ্রুত বাকি হত্যাকারীদের গ্রেফতার আর দ্রুত ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সবাই জোর দাবি তোলেন।

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment