ক্ষোভ থেকেই চাচাতো বোন তানিশাকে খুন করেছে নিশান

 

অভিজীত শর্মা, ফেণী প্রতিনিধিঃ

ফেনীর সদর উপজেলার ৬নং কালিদহ ইউনিয়নে মাইজবাড়ীয়া গ্রামে তানিশা নামে এক কিশোরীকে জবাই করে হত্যা করে। ৬ই মে বৃহঃস্পতিবার রাত ৯ঃ৪০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।

নিহত তানিশার(১১) পুরো নাম মোসাম্মাৎ তানিশা।তানিশা আনোয়ার ড্রাইভার এর বাড়ির শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে।তার বাবা শহিদুল ইসলাম এক জন প্রবাসী। তানিশা ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসার ছাএী। মেয়েটির বয়স ১১ বছর। অত্যান্ত শান্ত-শিষ্ঠ মেয়ে ছিল তানিশা। ঘটনা দিন বাসায় কেউই ছিল না। এই সুযোগে তানিশাকে জবাই করে রেখে যায়।যখন তানিশা মা তানিশার নিথর দেহ দেখতে পায়, পরে জানা-জানি হলে পুলিশ সুপার খন্দকার নূর নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল আতোয়ার রহমান ডিবি পুলিশ সহ বিভিন্ন ইউনটের সদস্যরা আসেন। ঘটনা স্থানে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তানিশার লাশের পাশে জুতা ও পাওয়া যায়, পরে জানা যায় এই জুতা নিশান(তানিশার জেঠাতো ভাই এর ।পরে ডিবি পুলিশ নিশান কে অনেক খোঁজা-খুঁজি করে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিশান(১৭) এর বাসা তানিশার বাসার কাছাকাছি।সে তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।তার বাবা প্রবাসী(পাকিস্তান) ছিলেন। নিশান গর্ভে থাকা অবস্থায় তার বাবা মৃত্যুবরন করেন। ছেলেটির মা একাই তাকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন।

ময়না তদন্ত শেষে তানিশার লাশ দাফন সম্পূর্ণ করা হয়।
অবশেষে ৭ ই মে শুক্রবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরাফ উদ্দিনের উপস্থিতিতে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিশান।

সে বলেছে যে “বেশ কিছু দিন ধরেই ক্ষোভ ছিল তানিশার উপর”। অবশেষে ক্ষোভের মাএা তিব্র থেকে তিব্র হলে নিশাত তার কাঙ্ক্ষিত নৃশংস কাজটি সাধিত করে।

 

50% LikesVS
50% Dislikes
Comments (০)
Add Comment