নওশের আলী ভূয়া এন্ট্রি দেখিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঔষুধ কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে

১৬

 

মোঃ ইকরামুল হক রাজিব, ব্যুরো প্রধান, খুলনা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে মূলঘর ইউনিয়নের গোদাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের SACMO নওশের আলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিনিয়তই নিম্নমুখী হচ্ছে মূলঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবার মান। রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা থেকে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসক নওশের আলীর অবহেলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে মূলঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবার মান। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বজন প্রীতির মাধ্যমে ঔষুধ ও চিকিৎসা দেওয়া হয়ে এখানে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, তারা এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে নূন্যতম সেবাটুকুও পাচ্ছেন না

সকাল ১০ টায় প্রতিষ্ঠানটি খোলা হয় এবং ১২ টার আগেই নওশের আলী এটা বন্ধ করে চলে যান।এবং ঔষুধ আনতে গেলে শুনতে হয় তার খারাপ আচরণ। ভুক্তভোগী একজন জানান আমি কৃমির ওষুধ আনতে গেলে আমাকে প্রথমে বলে নেই তারপর ১ টা মাএ কৃমির ওষুধ দেন এবং ওষুধ আনতে গেলে ওষুধ সব ছুড়ে মারে। ভুক্তভোগী আর একজন বলেন নওশের আলী লুঙ্গি পরে সবসময় অফিস করেন মন চাইলে অফিসে আসেন না চাইলে উপরে ২য় তলায় শুয়ে থাকেন কোন প্রয়োজনে তাকে ডাকলে তার খারাপ আচারণ শুনতে হয় আমাদের।

এলাকাবাসী আরও জানান নওশের আলী ঔষুধ রোগীদের নামে ভূয়া এন্ট্রি দেখিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় নওশের আলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের জমিতে নিজের ক্ষমতাজোরে দোকান ভাড়া দিয়ে সেই ভাড়ার টাকা প্রতি মাসে তার পকেটে যাচ্ছে। যা সম্পুর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।
এছাড়া এই নওশের আলী বিভিন্ন ব্যক্তিদের যোগসাজসে ঔষুধ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সিংহভাগ বাজারে বিক্রি করে দেয়। জনসংখ্যা রোধে নামমাত্রমূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী দপ্তরদের মধ্যে বিতরণ করার কথা থাকলেও এখানে তা করা হচ্ছে না

এ বিযয়ে নওশের আলীর কাছে জানতে চায়লে তিনি বলেন আমি অফিসে কম সময় থাকি কি না থাকি এটার জবাবদিহিতা করবো না কাউকে।আমার অনেক উপরে হাত আছে আমার নামে লেখালেখি করে লাভ হবে না।এবং আমার বাসা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২য় তলায় হওয়াতে আমি মাঝে মাঝে লুঙ্গি পরেও অফিসে আসি তবে আমি আসার আগেই এখানে একটি দোকান ছিলো তবে আমি আসার পর আরেকটি দোকান এখানে হয়েছে এবং আমি ভাড়া উঠিয়ে খেয়ে ফেলি। এবং ঔষুধ বিক্রি সম্পর্কে ও আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার(মা,শিশু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:মোঃশাহরিয়ার শামীম জানান যে,উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমি কোন ভাবে অন্যায়ের সাথে আপস পরবো না।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.