হেফাজতের তান্ডব নিয়ে সংসদে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

৫২

মোঃআল-আমিন,ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশে মাসব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের আগমন ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬শে মার্চ উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিভিন্ন কর্মকান্ড পালন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।তারই অংশ হিসেবে গত ২৮শে মার্চ সারাদেশে হরতাল পালন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একদিনের পালিত সেই হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে অঅগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক সংঘর্ষ চালায় তারা।

দেশের এই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংসদ অধিবেশনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন ধর্মীয় উউচ্চশিক্ষার জন্য আমাদের দেশের আলেমরা ভারতে যায়।তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসলে সমস্যা কোথায়? তিনি আরো বলেন হেফাজতের এই তান্ডবের পেছনে বিএনপি- জামাতের মদদ রয়েছে,যার ফলে এত জোর পায় হেফাজত। তিনি আরো বলেন যে,বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর সহ অঅগ্নিসংযোগ চালায় হেফাজতের কর্মীরা।এসময় তিনি সংসদে ২৮ শে মার্চের দেশের বিভিন্ন স্থানের হামলার কিছু স্থিরচিত্র তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে আরো বলেন ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম হয় তবে সেই ধর্মের নামে জ্বালাও পোড়াও কেন.??এটা কোন ইসলামি দলের কাজ হতে পারেনা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের কর্মকান্ড নিয়েও কথা বলেন।তিনি বলেন যে যিনি ধর্ম নিয়ে এত কথা বলেন তিনি কিভাবে এসব অধর্মী কাজ করেন। তিনি কিভাবে নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িয়ে পড়েন,তিনি কিভাবে অন্যের স্ত্রীকে নিজের বলে দাবি করেন।এসময় মামুনুল হককে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন আগুন নিয়ে খেলছে তারা।ধর্মকে কাজে লাগিয়ে এমন কাজ করছে তারা।সরকার ধৈর্য্য ধারন করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।ভবিষ্যতে যদি এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে দেশের জনগন আর মেনে নেবেনা।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.