মোঃ সাইফুল ইাসলাম,ডেস্ক রিপোর্ট: স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক গৃহবধূ। যৌতুকের জন্য প্রায়ই মারধর ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতো গৃহবধূ সুমাইয়া বেগম।
সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তালতলী উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের মজিদ খন্দকারের ছেলে করিম খন্দকারের সাথে ১১ বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের সুমাইয়া বেগমের। তাদের ১১ বছর সংসার জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য পাশবিক ও অমানুষিক নির্যাতন করতো স্বামী করিম খন্দকার। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সালিশ বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠকে স্হানীয় ও প্রতিবেশীরা অনেকবার আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করে সুমাইয়ার স্বামীকে। তারপরও যৌতুকলোভী করিম খন্দকার অর্থের লোভে আরো বেপরোয়া আচরন করে। স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে অনেকবার সুমাইয়া বেশ কয়েকবার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
স্বামীর প্রতিদিনকার অমানুষিক নির্যাতনে নাজেহাল সুমাইয়া গত দুইমাস আগেও আবার চলে যান বাবার বাড়ি।
বগীরহাট প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস তালুকদার বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিয়ে সুমাইয়াকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত মঙ্গলবার গভীর রজনীতে বেপরোয়া করিম খন্দকার কুপিয়ে জখম করে সুমাইয়াকে। এ বিষয়ে সুমাইয়ার ভাই হানিফ করিম খন্দকার সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যৌতুকলোভী করিম খন্দকার বর্তমানে জেলখানার চার দেওয়ালের বদ্ধ কুঠরে। ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবার যৌতুকলোভী করিম খন্দকারের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন।