সঠিক সভ্যতার উৎকর্ষতায় প্রয়োজন জ্ঞান চর্চা।

৯০

 

মোঃ জহিরুল ইসলাম,ডেস্ক রিপোর্ট: মুসলমান সভ্যতা বিশ্বের সর্ববিভাগে বিরাজমান। সত্য অন্বেষণকারী জ্ঞান পিপাসীয়রা অন্ধকারাচ্ছন্ন বিশ্বকে ইসলামের আলোকবর্তিকা দ্বারা পুরো পৃথিবীরকে আলোকিত করেছেন।প্রয়োজনে কখন মসজিদের মিমঘর থেকে কখনও বা রাঙারাজ পথ থেকে কিংবা লিখনির মাধ্যমে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন সেই সত্যের আলোকবর্তিকা। একজন বিশুদ্ধ বক্তার মুখ এবং মস্তিষ্ক নিঃসৃত প্রতিটি কথা সমাজে বসবাসরত মানুষের জন্য পথ নির্দেশক।তেমনিভাবে এর পাশাপাশি প্রয়োজন ইসলামি বিজ্ঞান রিসার্চ সেন্টার।

অতীতে বাগদাদে ১০৬৫ খৃস্টাব্দে নিজাম-উল-মুলক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান রিসার্চ সেন্টারের দৃষ্টান্ত, আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও অবাক না হয়ে পারেন না।তাছাড়া আমরা যদি দেখি, ৯৭০ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত আফ্রিকার কায়রো বা মিশরে আল-আযহার মসজিদের পাশে আল আজিজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান গবেষণা একাডেমি,তবে দেখতে পাবো ঐ সময়ে সেখানে বইয়ের সংখ্যাছিল ১৮,০০০ হাজার। যার অধিকাংশই ছিল উচ্চতর গবেষণামুলক বই।আপনার মনে রাখতে হবে তখন কিন্তু এত সহজে ছাপা বই পাওয়ার পরিবেশ ছিল না।কিন্তু তবুও থেমেছিল না,মসজিদ ভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চার পরিবেশ।

সেই সময় মসজিদ গুলোকে কারুকার্যে সজ্জিত করার জন্য বর্তমান সময়ের মত কোন স্বতন্ত্র কমিটি ছিল না।কিন্তু বিজ্ঞানের জ্ঞান চর্চায় যেন কোন ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য প্রতিটি মসজিদে ছিল স্বতন্ত্র কমিটি।মুসলমানদের ভুললে চলবে না,নবী করীম (সাঃ)-এর একটা তরবারীর খাপে অনেক পুস্তিকার উপকরণ সংরক্ষিত ছিল।সুতরাং যুদ্ধ ক্ষেত্রেও থেমেছিল না জ্ঞানের সাধনা।আজ আমরা পিছিয়ে পরছি কেন আপনার বিবেকে প্রশ্ন করেন?

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.