ডেস্ক রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে জামাই শ্বশুরের দ্বন্দ্ব ও হাতাহাতির প্রশমন করতে গিয়ে চাচার লাঠির আঘাতে খুন হয় ভাতিজা।
সরেজমিনের তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুরের ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মালে বাড়িতে এই মর্মাতিক আর অনাঙ্ক্ষিত এই খুনের ঘটনা ঘটে।
কিছুদিন আগে থেকেই জামাই নিজামের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো শ্বশুর মালেক মালের সাথে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় জামাই নিজাম কিছু টাকা জমা রেখেছিলো শ্বশুর মালেক মালের কাছে।
ঈদ উপলক্ষে টাকার দরকার ছিলো জামাই নিজামের।
পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে জামাই নিজামের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয় শ্বশুর মালেক মালের সাথে।
দ্বন্দ্ব আর হাতাহাতি প্রশমন করতে এগিয়ে আসে ভাতিজা নুরুউদ্দীন।
মারামারির পর্যায়ে শ্বশুর মালেক মাল নুরুউদ্দীনকে নিজের প্রতিপক্ষ ভেবে লাঠি দিয়ে মাথায় ও বুকে আঘাত করে।
মাথায় ও বুকে মারাত্মক জখম হয় নুরুউদ্দীনের।
নিয়ে যাওয়া হয় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে।
হাসপাতালের ডাক্তারা চেষ্টা করেও বাচিয়ে তুলতে পারেনা নুরুউদ্দীনকে।
ফলে আঘাতে মাত্রারিক্ত জখম ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মারা যান ভাতিজা নুরুউদ্দীন।
এ ঘটনায় নিহত নুরুউদ্দীনের মামা ৭ জনকে আসামী করে মামলা করেন।
আসামীরা পলাতক অবস্থায় রয়েছে।
১২/০৫/২০২১ রোজ বুধবার এ ঘটনা শেষে ১৩/০৫/২০২১ রোজ বৃহস্পতিবার বিকালে পোস্টমর্টেম শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নিহত নুরুউদ্দীনকে।