মোঃইকরামুল হক রাজিব,ব্যুরো প্রধান,খুলনা: প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর হার। তবুও রামপাল উপজেলার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেনই না। সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য লক ডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
গণপরিবহন চলাচল না করলেও মনুষ্যভ্যান, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, বাই সাইকেল, মোটর সাইকেলে চলাচল প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দোকান পাট খোলা রাখা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, জনগণকে করোনা সচেতনতা নির্দেশনা দিতে রামপাল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে। মাইকিং, মাস্ক বিতরন, পুলিশের টহল বৃদ্ধি, পথ সভা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দাড়িয়ে করোনা সচেতনায় সরকারের গুরুত্বপুর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । তিনি আরও বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেওয়া মাস্ক বিতরন করা হয়েছে।
এ ছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোভন সরকার ও আমি পৃথক ভাবে উপজেলার ফয়লাহাট, রনশেন, ভাগা, ঝনঝনিয়া, রামপাল সদর, গিলাতলা, চাকশ্রী বাজার, গৌরম্ভা বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৮ দফা সম্পর্কে প্রচার প্রচারনা চালিয়েছি।
করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার গত ৩০ মার্চ নতুন করে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করায় প্রশাসনের মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপরতা বেড়েছে। নির্দেশনার মধ্যে সব ধরনের জনসমাগম, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ অন্যান্য সভা সমাবেশ সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম না করতে বলা হয়েছে। দোকানপাটে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী খোলা বা উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বেচা কেনা করতে বলা হয়েছে। সামাজিক সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে কোন সহায়তা পাওয়া গেলেই আমরা নিন্ম আয়ের মানুষদের সহযোগিতা করতে পারবো।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে অনেক স্থানে ছোট ছোট দোকান পাট খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বসে পান-চা, সিগারেটের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দাবার বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার পেড়িখালী বাজার ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মাস্ক বিহিন ভাবে লোকজন অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার জন্য বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহায়তায় মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১০ জন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা সার্বক্ষণিকভাবে জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করেছেন। এখনও পর্যন্ত এ উপজেলা করোনা মুক্ত রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে ও যেন করোনা মুক্ত রাখা সম্ভব হয় এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।