রাজধানীর বসুন্ধরায় নির্মিত করোনা হাসপাতাল উধাও

৪৩

মোঃআল-আমিন,ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ যখন বেড়েই চলেছে,হাসপাতলে যখন তিল পরিমান ঠাঁই নেই অবস্থা তখন এই অবস্থায় রাজধানীতে একটি হাসপাতাল উধাও।

গত বছর রাজধানীর ৩০০ ফিটে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০০০ শয্যার হাসপাতালটি আর নেই। মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৩০০ শয্যার হাসপাতালটিও খালি পড়ে আছে।

গত ২০২০ সালের ১৭মে রাজধানীর ৩০০ ফিটে(বসুন্ধরায়) ২০১৩ বেডের একটি আইসোলেশন সেন্টার ও করোনা হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,এত কম সময়ে এত বিশাল হাসপাতাল পৃথিবীর আর কেউ নির্মান করতে পারেনি।

দীর্ঘ ১০ মাস পরে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।হাসপাতালে ঠাই হচ্ছেনা,২/৩ দিন ঘুরেও কোন বেড পাচ্ছেনা রোগীরা।রোগীদের যখন এই অবস্থা, তখন কোথায় সেই ২০০০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার ও হাসপাতাল.?।সেই জায়গা এখন ফাঁকা।

বসুন্ধরার সেই জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে আরো ৪ মাস আগেই সরকার হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি নির্মান করেছিলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

গেলো বছর একই সময়ে মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে ১৩৯০ বেডের আরো একটি হাসপাতাল নির্মান করেছিলো স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।ঐ হাসপাতালটি নির্মানে ব্যয় হয়েছিলো ১৩ কেটি ৫৬ লাখ টাকা। সেই হাসপাতালে এখন ধূলার স্তূপ।

দেশে যখন করোনা রোগীর চাপ মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছেনা তাহলে সেই হাসপাতালে কেন রোগী নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়হীনতা,অদূরদর্শিতা এবং অপচয়ের অন্যতম প্রমান হয়ে উঠেছে এই হাসপাতালদুটি।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.