রক্তাক্ত মিয়ানমারে গুলিতে নিহত ছয়শত ছাড়িয়ে গেছে

২০

মেহেদী হাসান সজীব, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিবাদ বিক্ষোভে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত সহ আহত এবং গ্রেফতার কয়েকহাজার। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের দেখলেই গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীরাও লাঠি এবং ছুরি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে। শুধু ইয়াঙ্গুন নয় বর্তমানে পুরো বার্মা জুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পরেছে।

আন্দোলনে ছাত্র, জনতা, শিশু সহ নারীদের ও অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। দিন দিন ভয়াবহ রুপে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তেছে। আন্দোলন কারীরা প্রবাসী সরকার ও গঠন করে জান্তা সরকার কে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে।

এদিকে সেনা সরকার যেকোনো মুল্যে আন্দোলন কারীদের দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পুলিশের গুলিতে প্রতিনিয়ত শতে শতে মানুষ মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম সুত্রে জানা যায়, এই পর্যন্ত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৬০০ এর মত মানুষ মারা গেছে, যার মধ্যে ৪৩ জন শিশু ও রয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত দশ হাজারের উপরে ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আন্দোলন থেকে সে দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, গায়ক সহ অন্তত কয়েকহাজার মানুষ কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে আন্দোলন কারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দের একটি ঘাটিতে হামলা চালিয়েছেন। সেখানে অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসি সুত্রে জানা যায়, মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ও ব্যাপক সহিংসতার ছড়িয়ে পড়ায় অনেক মানুষ দেশ ছেড়ে ভারতে পালাচ্ছেন।

এই সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে চীন সরকারকে দায়ী করে সে দেশের সাধারণ মানুষ চীনের পতাকা সহ চীনা মালিকানা একটি কারখানা পুড়িয়ে দিয়েছে। দেশটিতে চীন বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন সাধারণ জনগণ।

এদিকে মায়ানমারের এতো প্রাণ হানী বন্ধে বিশ্বনেতাদের এবং বিশ্ব সংস্থা গুলোর নিন্দা প্রস্তাব ছাড়া তেমন কোন জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। জাতিসংঘ ও অনেকটা নীরব ভুমিকায় আছে বলে অভিযোগ করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক গণ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন সহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র সেনা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে শুরু থেকেই জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র এজন্য মায়ানমার কে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ও দিয়েছেন। ফলে মায়ানমার থেকে সে দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পয়লা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান করার পর থেকেই মিয়ানমার দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশটির বেসামরিক নেত্রী এবং ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের প্রধান অং সান সু চিকে আটক করে রেখেছে সামরিক জান্তা।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.