পার্থ রায়,উপজেলা প্রতিনিধি,মোল্লাহাট,বাগেরহাটঃ
দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। মোল্লাহাটে ৮২টি পুজামন্ডপে চলছে শারদীয় দুর্গা পূজার ব্যপক প্রস্তুতি। তাইতো দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার প্রতিমা তৈরির কারিগররা। দুর্গা পুজার আর মাত্র ৮ দিন বাকি হওয়ায় মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
একেবারেই দোরগোড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। শরৎ এলেই যেন মনে দোলা দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলায় এবছর ৮২টি পুজা মন্ডপে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। তাইতো দিন রাত মন্ডপে মন্ডপে দেবী দুর্গা, কার্তিক, গনেশ, লক্ষী , সরস্বতীসহ প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা । হাতে সময় কম, তাই দিন রাত ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করছেন প্রতিমার তৈরির শিল্পীরা। কাদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমায় ভরে উঠছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির। চলছে প্রতিমাগুলোতে দো-মাটির কাজ। দো-মাটির কাজ শেষ হলেই শুরু হবে প্রতিমাগুলোতে রং ও তুলির কাজ। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে আকার ভেদে কারিগররা মজুরি নিচ্ছেন ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
প্রতিমা তৈরীর কারিগর বিকাশ পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় এক-একটা প্রতিমা তৈরিতে আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও বাড়তি মজুরি নিতে হচ্ছে।
উপজেলার গিরিশনগর পশ্চিমপাড়া সর্বজনীন দূুর্গা মন্দিরের সভাপতি অশোক কুমার রায় বলেন , বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি মজুরি নিচ্ছেন কারিগররা। যে কারনে পুজার খরচ বেড়েছে অনেকগুন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ বসু দৈনিক সাহসী কন্ঠকে বলেন, এ বছর বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজলায় ৮২ পুজা মন্ডপে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় ২ টা কম। যে কারনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগর ও আয়োজকরা। এদিকে পুজার সময় যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকে এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে সে বিষয়ে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই নেতা।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সোমেন দাশ দৈনিক সাহসী কন্ঠকে জানান,পুজা উপলক্ষে মন্দির কেন্দ্রীক গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এলাকা কেন্দ্রীক বিট অফিসাররা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।এছাড়া পুজার দিনগুলোতে আনছার সদস্য নিয়োজিত থাকবে এবং প্রতিটা মন্ডপের কমিটিদের স্বেচ্ছা সেবক নিয়োগের ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলে প্রতিটা মন্দিরে যাতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয় সে ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।