কবি মোঃসাইফুল ইসলাম শামীম(কৃষিবিদ)
মেঠো পথে হেঁটে হেঁটে
দূরের কোন গাঁয়
একটু খানি খুঁজি সুখ
অবরুদ্ব শহরের কোলাহল ছাড়ি৷
যত দূর যায় চোখ
অপলক দৃষ্টিতে শুধু দেখি
কত মনোরম দৃশ্য
নেয় যে আকুলতা কাড়ি৷
মেঠো পথের দু’ধারে
সারি সারি তরুলতা বৃক্ষরাজি
সুশীতল ছায়া বহে মিহি হাওয়া
জুড়িয়ে দেয় অবসন্ন মনের চাওয়া৷
চমকিত হই যত যাই,
পাশে পাশে বহিয়া জলধার
পল্লী গাঁয়ে বধুরা
ঘাটে বসে করে স্নান, বাসন মাজে বসিয়া৷
মেঠো পথে হেঁটে হেঁটে
আরও কত কি দেখি
খানিকটা জনশূন্য জনপথ
দূরে গাঁয়ে যেতে খানিক বাকী৷
পাশ দিয়ে বয়ে চলে
ম্রোতধারা নদী,ঐ দূরে খাল বিল
জেলে ভাই ধরে মাছ,
রূপসী রূপে মজে আঁখি৷
মেঠো পথে যেতে যেতে
মিলে দেখা অবহেলায় ফোঁটা বনোফুল
কোনটার সুঘ্রাণ পুলকিত করে,
মনে করে ব্যাকুল৷
শুনিতে পাই পাখিদের কলতান
সুমধুর সুরে গায় গান
মেঠো পথের ধার ঘেঁষে গহীন বন
প্রাণ করে আকুল৷
মেঠো পথে যেতে যেতে
মনে আসে প্রশান্তি
মাঠের পর মাঠ চষে
সোনালী ফসল ফলায় চাষী৷
অবারিত সুখ সেথায়
দূরের ঐ মেঠো পথের গাঁয়ে
মেঠো পথেই হেঁটে হেঁটে যেতে হয়
দেখিতে সাদা মনের মানুষের মুখ ভরা হাসি৷