মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার- গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণে বাধা

২১

নাজমুল হাসান, দেওয়ানগঞ্জ উপঝজলা প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১ নং ডাংধরা ইউনিয়নের শরবত আলী শেখের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক সরকারি জমি দখলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পুর্ব নিমাইমারি এলাকার মৃত আকছের আলীর ছেলে শরবত আলী, কারখানা মৌজার ১ নং খতিয়ানের ২ একর ৯২ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে ভোগ করে আসছে যার দাগ নং ৭৩৪৯।

আশ্রয়নের অধিকার প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে সারা দেশের ন্যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে প্রকল্প ১ এর কার্যক্রম শেষ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব, আসাদুজ্জামান।

পরবর্তীতে আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর কাজ শুরু করা হয়, কিন্তু যে ভূমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ হওয়ার কথা সেই জমিতে ঘর তুলতে স্থানীয় শরবত আলী গং কর্তৃক বাধা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউ এন ও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয় সরেজমিনে এসে জমিতে থাকা গাছপালা ও অন্যান্য আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি শরবত আলী। গত ১০- ১২ দিন ধরে জোরপূর্বক সরকারি আদেশ অমান্য করে স্থানীয় কিছু ভাড়াটে দুর্বৃত্তের সহায়তায় জায়গাটি দখল করে অবৈধভাবে টিন সেড নির্মাণ ঘর করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরবত আলী বলেন, এটা আমার বাপ দাদার ক্রয়কৃত জমি, তাছাড়া জমিটা আমার দখলে রয়েছে। জমিদার লিজ নেওয়াসহ ভূমিহীন বন্দোবস্ত (ডি সি আর) এর জন্য আবেদন দেওয়া আছে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শরবত আলী ভূমিহীন দাবি করে গত ২৫-০৪ -২০২১ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর একখানা দরখাস্ত প্রদান করেন। যার মধ্যে উল্লেখ করা আছে উক্ত বসতভিটা আমার বাপ দাদার ১০০ বছর আগের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাই। এখানে আমার বাড়ি ঘর গাছপালা ও আমের বাগান আছে। যা জোরপূর্বক ভাবে বাড়িঘর ভেঙ্গে গাছপালা কেটে দিয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাসুদ সাহেব গৃহহীন প্রকল্পের ঘর উঠানোর চেষ্টা করিতেছে। উক্ত জমিতে আমরা চারটি পরিবার বসবাস করি এবং জমিটি আমার দাদার নামে সি এস রেকর্ডকৃত, আর ও আর ও বি আর এস রেকর্ড সংশোধনের এর জন্য মামলা প্রস্তুত করা আছে। এছাড়াও আমি বিগত ৪ বছর আগে স্থানীয় ভূমি অফিস ২০১৬ সনে ভূমিহীনদের মাঝে ভূমি বন্দোবস্ত এর জন্য আবেদন জমা দেওয়া আছে।

এ বিষয়ে ডাংধরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাসুদ কে জিজ্ঞেস করা হলে , তিনি বলেন শরবত আলীর নিজস্ব পাকা দালান যুক্ত দুটি ঘর ঘর আছে। মাঠে ৮-১০ বিঘা জমি আছে তবুও সে সরকারি খাসজমি দখল করে আছে এবং ভূমিহীন দাবি করা তার জন্য অযৌক্তিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য যে কাজ করা হচ্ছে তাতে বাধা প্রদান করা কোনোভাবেই শরবত এর জন্য কাম্য নয়।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসময় তিনি শরবত আলীর অভিযোগের কোন জোড়ালো কোন ভিত্তি খুজে না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভূমিহীনদের জন্য ঘর প্রদানে কাজে যেন কেউ বাধা প্রদান না করে সে বিষয়ে সকলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে গরীবের উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য যে কাজ করা হচ্ছে তাতে বাধা দেওয়া ঠিক হয়নি। এ জমি সরকারের। তা সরকারি কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান, সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.