মানবতার নোঙর করা জাহাজগুলো কি ফিরে গেছে?

৩৫

মোঃ সাইফুল ইাসলাম,ডেস্ক রিপোর্ট: গতো বছর বাংলার পথে প্রান্তরে, মাঠে ঘাটে নোঙর করে মানবতার উৎকৃষ্ট উদাহরন রেখেছিলো মানবতার পতাকাবাহী জাহাজগুলো রেখেছিলো আর্ত মানবতার সেবায় অসামান্য অবদান। সাধারন অসহায় মানুষও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আনন্দের হাসি হাসে গোটা পরিবারসমেত।
শুধু ব্যতিক্রম ছিলো কিছু নেতা নামধারী জনদরদী স্বার্থনেষী সেলফীবাজ নেতাদের কার্যক্রম।

তাদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ব মনে হলেও অসহায় মানুষ যে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বছর ঘুরে আবার শুরু হলো লকডাউন। সাধারন কর্মহীন মানুষ করোনাকে না যতোটা ভয় পায়, তার চেয়েও অধিক ভয় পায় ক্ষুদা নামক ভাইরাসকে। আবার পবিত্র মাহে রমজানের উপস্থিতি পরিবার নিয়ে মানসিক প্রশান্তি দিলেও সময় শেষে ক্ষুদা নামক ভাইরাসের তীব্র যন্ত্রণা উপস্থিত হয়।

পরিবারের ছোটো ছোটো বাচ্চারা যখন প্রশ্ন করে বাবা আমরাতো সারাদিন রোযা ছিলাম, ইফতারীতে কি দিয়ে রোযা খুলবো আবার সাহরীতেবা কি খেয়ে সারাদিন রোযা থাকবো?
শুধু পানি কিংবা চিড়া মুড়ি খেয়েই কি রোযা হয় বাবা?
তুমিওতো অনেকদিন কাজে যেতে পারছো না কিন্তু গতোবার যে মানবতার নিশান উড়িয়ে জনপদগুলোয় ত্রানের মিছিল দিয়েছিলো, সেই মানবতার পতাকাবাহী জাহাজগুলো কি ফিরে গেছে আপন গন্তব্যে?

সেই দানশীল আর দানবীর উপাধি পাওয়া জনদরদী, জননেতারা কি হারিয়ে গেছে কালের অতল গহ্বরে?
অসহায় নিরুপায় বাবাও ছোট্ট শিশুর এহেন প্রশ্নবানের উত্তর মিলাতে পারে না। এক বুক কষ্ট আর করুন আর্তনাতে ভারী করা ফরিয়াদ নিয়ে দু, হাত তুলে সাহায্য কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। আর বলে আমরাতো তোমারই ইবাদত করি আর তোমারই অনুগ্রহ কামনা করি।
কিন্তু তোমার কাছে জানার ছিলো এই পবিত্র রমজানে বান্দার ছোটো ছোটো দানকে যখন তুমি বিশাল পাহাড় সমান নেকীর ঘোষণা দিয়েছো, তারপরও সেই দানশীল আর দানবীর জনদরদীরা আপন জনপদে ফিরবে না? তাদের পবিত্র মনে কি মাহে রমজানের পবিত্রতার আলো প্রবেশ করেনি?

তারা কি ভুলে গেছে তোমার পবিত্র মাসের গুরুত্ব ও মহত্ত্ব।
না আবার জমানো সম্পদ রেখেই এরা আবার চলে যাবে অনন্ত পরকালের পথে। সুস্থ রাখো সেই দুঃসময়ের কান্ডারীদের।

আপনারা ফিরে আসুন আপন গন্তব্যে পবিত্র রমজানে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় মানবতার পতাকাবাহী নিশান উড়িয়ে আসুন আর্ত মানবতার সেবায় নিজ নিজ জনপদে।
নিজেদের আবিষ্কার করুন মানুষের, জনগনের, ইসলামের সেবক হিসাবে। আর না হয় জমানো রেখে যাওয়া সম্পদ নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন মহাবিচার দিবসে। যেদিন আপনার রেখে যাওয়া সম্পদ কোনোই কাজে আসবে না।
সম্পদের হিসেব দিতে দিতে মহাদিবসের সেই কঠিন দিনে আপনার নাজেহাল পরিস্থিতি হবে এবং আপনাকে হয়তো ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে অনন্ত যুগের টগবগ করা, ফুটন্ত অগ্নিগর্ভে।
জ্বলন্ত অগ্নিশিখা আর ফুটন্ত টগবগ করা অগ্নি লাভায় জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ করবে প্রতি মুহুর্ত। যা কতোই না চিরস্থায়ী মন্দ স্হান। তাই সময়ে ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করে ইসলামের মহান আলোয় ফিরে আসুন আর্ত মানবতার সেবায় আর উড়িয়ে দিন আপনার মানবতার নিশান।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.