মরনের জন্যেই

১২৮

লেখক: দুলাল চক্রবর্তী।

রাত কত হয় এখন?
দেওয়ালে প্রশ্ন ওঠে।
কেন তুমি অকারণ এমন?
বিছানাটা কাঁপে আর বলে।
জেগে জেগে কাকে খুঁজে বেড়াও?
হাতল ভাঙা চেয়ারের কান্না-কথা।

তাইতো!
কেন আমি এভাবে এখানে এখন?
কে আপন কে পর,
আর কি তারপর,
এখন এই রাতভর
সেই খোঁজ চলে বরাবর।
তুমি আছো কোথায়?
ভালো আছো কিনা?
সে আজ এসেছে নাকী?
হাজার প্রশ্ন শত অনুরাগ।
তাই ভাবি কিসের কে আমি?
তুমি কি আমারই পূর্বাপর
না কি গোপনীয় স্বার্থপর
কিম্বা আমার স্বপ্নের তুলি হাতে
এই রাতে নিস্তব্ধ এক অন্ধকার।
আমি খুব ভাবি তাই।
তাই নিয়েই আমার তাইতাই আহ্লাদ।

নিষ্পলক কল্পনায় অনন্ত সাগর
আমি আল্পনায় আঁকি,
সেই গোপন হ্রদের ঠিকানাতেই
আমার প্রিয় মানস সরোবর।
মিষ্টি সেই জলরাশির ঢেউয়ে
আমি ভেসে চলে যাই কোন আদিম আদিত্য আদালতে।
যে উপেক্ষার অপেক্ষা আমার,
যে সান্ত্বনাহীন চিন্তা যন্ত্রণার,
যে প্রেমের তিতিক্ষা প্রেরণার,
সে-ই নিখোঁজ স্বপ্ন,
এখন শুধুই তিরস্কার।

তারই দরবার অতলে,
কোন অবাঞ্চিত মাতালের তন্দ্রাঘোরের দরবারে
আমি নেশায় মাতাল,
কি যে উত্তপ্ত নিশ্বাসের শীৎকার।

তখনই তোমাকেই আপন ভেবে
নিয়ে বাসর সাজাই।
সেখানে ছায়া ছায়া মায়ায়
তোমার অনুপম কল্পনার পারদ মাত্রায়, তোমাকেই সাজাই।
মিছামিছি ভিন্ন বাস্তব প্রতিমা।
এই ব্রত, এই রত, এইশত সাথকাহনেই আত্ম রতি মতিগতি
একেক একাকীর একাকার যাপন।
দহনের দাফন কাফনে
শ্যামাপোকা জ্বলন আর মরন।
তুমি কিছুই জানো না।

আলোকচিত্র : রুবি আক্তার।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.