মো: মেহেদী হাসান আশিক,ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বেড়িবাঁধ গুলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এর কারণে জোয়ারের সময় লোকালয়ে পানি ঢোকার ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারও মানুষকে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানির চাপ বেড়ে গিয়ে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া বেড়িবাঁধ,হাজীরহাট বেড়িবাঁধ,আলীপুর ইউনিয়নের তনহার বেড়িবাঁধ, সুতাবাড়ীয়া নদীর আলীপুরা ও খলিশাখালী বেড়িবাঁধ, চরঘূর্ণি বেড়িবাঁধ, আউলিয়াপুর বেড়িবাঁধ সহ অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে পুকরের মতো বড় আকৃতির গর্ত তৈরি হয়েছে।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন থেকে দশমিনার হাজীরহাট বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ার ফলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। আলীপুরা খলিশাখালী পাকা সড়কটি বেড়িবাঁধে থাকায় ভাঙনের কারণে রণগোপালদী ও আলীপুরা ইউনিয়নের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে আছে। এর ফলে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এছাড়াও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রণগোপালদী ও আলীপুরা ইউনিয়নের শত শত পানের বরজ।
এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সাল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙে যাওয়া বেড়াবাঁধের কারণে জোয়ারের পানি ঢুকছে লোকালয়ে, এখনো বাঁধগুলো সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বহু মানুষ।
এ ব্যাপারে বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন বলেন, বাঁশবাড়ীয়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় জোয়ারের পানি লোকায়ে ঢুকছে ফলে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এ বিষয় পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালেহ আহমেদ বলেন, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ গুলোর মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে গলাচিপার বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ চলতেছে পর্যাক্রমে খুব দ্রুত দশমিনায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত কাজ শুরু হবে।