বিয়ের পরদিনই ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিল সেই কিশোরী

৪৮৪

 

মো: মেহেদী হাসান আশিক,ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বিয়ের পরদিনই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দিল নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী নছিমন (১৪)। যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তার মাধ্যমে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদেরকে তালাক দিল সেই কিশোরী নছিমন। তালাক দিয়ে সে তার পরিবারের কাছে ফিরে যায়। এ ঘটনা ঘটে শনিবার ২৬ জুন সন্ধ্যার সময়। কিশোরী নছিমন ও তার বাবা নজরুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান শাহিন শাহিন হাওলাদার নিজেও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শাহিন হাওলাদার গত ২১ জুন নৌকা প্রতীকে কনকদিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি এর আগেও তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরী নছিমন রমজানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। প্রেমের টানে নছিমন রমজানের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল। এ ঘটনা জানতে পেরে নছিমনের বাবা চেয়ারম্যানকে জানায়। চেয়ারম্যান বিষয়টি শুনে গত শুক্রবার ২৫ জুন ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। সেখানে নছিমন ও রমজানের উভয় পক্ষের পরিবার উপস্থিত ছিল। চেয়ারম্যান সালিসে বসার পর নছিমনকে দেখে পছন্দ হয়ে যায়। পরে তিনি ওই কিশোরীর বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হলে ওই দিন বাদজুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন।

কিন্তু বিয়ের পরে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা, শনিবার নছিমন বলেন, চেয়ারম্যানের সালিশ বৈঠকে গিয়েছিলাম নিজের পছন্দের প্রেমিককে বিয়ে করতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি বিয়ের পরে এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই আমি চেয়ারম্যানকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান এ বিষয়টি বুঝতে পেরে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, মেয়ের বাবা রমজানের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে সম্মতি ছিল না। তাই কাজি ডেকে আমি বিয়ে করেছিলাম। এখানে কোনো প্রভাব বা জোর করার কোনো ঘটনা হয়নি।কিন্তু বিয়ের পরে নছিমন ভালোভাবে মেনে নিচ্ছিল না। তাই যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তাঁর মাধ্যমে ২৬ জুন (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি আমাকে তালাক দিয়েছে এবং তাকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।

স্থানীয় লোকজনের তথ্য মতে, নছিমন কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে,১১ এপ্রিল ২০০৩ । কিন্তু বিদ্যালয়ে থাকা জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ অনুসারে মেয়েটির জন্ম ১১ এপ্রিল ২০০৭।অন্যদিকে,চেয়ারম্যানের সাথে বিয়ের খবর শুনে শুক্রবার নছিমনের প্রেমিক রমজান বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকি:সাধীন আছেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রমজান বলেন, ওকে আমার কাছে এনে দেন। আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.