ডেস্ক রিপোর্ট: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ে বাড়িতে সোনার বদলে নকল অলংকার আনায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটায়_মেয়ে পক্ষ বরপক্ষকে একদিন আটকে রেখে শনিবার দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় মেয়েকে পাঠানো হয়নি বরের বাড়িতে। উল্লেখিত ঘটনাটি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী গ্রামের -সরকার পাড়ায় ঘটে।
উপস্থিতিদের তথ্যসুত্রে জানা যায় সরকারপাড়া র এক মেয়ের সাথে গত আড়াই মাস আগে দু পক্ষের আলোচনা অনুযায়ী বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়। দিনাজপুরের খানাসামা উপজেলার তেবাড়িয়া চৌপথি নামক এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী হবিবর রহমানের ছেলের মফিজুল ইসলামের সাথে।
প্রস্তবিত আলোচনা মোতাবেক ১১ জুলাই শুক্রবার ছিল কনে বিদায়ের দিন। এদিন সন্ধ্যায় অনুমানিক ৫০-৬০ জন সংখ্যাক বরযাত্রী নিয়ে কনেকে নিজবাড়িতে নিতে আসেন বর মফিজুল।
একদিকে বরপক্ষের খাওয়া-দাওয়া চলছে আর অন্যদিকে দু’পক্ষই হেসে দুলে কনে সাজানো হচ্ছে নয়ানাভিরম রূপে খুব বিমোহিত মুহুর্ত ছিল ।
কিন্তু কনের ভাবি টের পেয়ে চোখ গেলো গহনার দিকে-অভিজ্ঞতা থাকায় বুঝতে পারে যে বরপক্ষের সুটস্কসে নিয়ে আসা হাতের বালা দু’টি স্বর্ণের নয় সিটিগোল্ডের। মনে সন্দেহ আর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মেতে গেলো দু’পক্ষই – এনিয়ে বরপক্ষের সাথে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় বিয়ে বাড়ির পরিবেশ। এমন হওয়ায় সারারাত বরপক্ষকে আটকে রাখে কনেপক্ষ। ১২ জুলাই শনিবার দুপুরের দিকে দু’পক্ষের জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে কনে তালাক করে নেয়া হয়।
বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, দুই মাস আগে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিলো এবং
শুক্রবার কনে নিয়ে যাওয়ার অনুষ্ঠান ছিলো।
এদিন রাতে মতবিরোধ তৈরি হওয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে যায় তাদের।
আজ দুপুরে তালাক করে নেয়া হয় মেয়েকে। বরপক্ষকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলো মেয়ে পক্ষ্য। এরমধ্যে ৭০হাজার টাকা নগদ দেয় বরপক্ষ। সর্বপরি পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলেও সবার চোখে মুখে আলোচনার ঝড় বইছে।