লেখক : মোঃ জহিরুল ইসলাম:মানুষ বহুরূপী কখনও বা একচোখা। কারো দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতার প্রভাব সমাজ কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে মানুষের উপর অপরিসীম।তবে জ্ঞান অন্বেষণকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এই প্রভাবই মারাত্মক ভয়ানক যখনই তা সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক কিংবা ভূ-রাজনীতির সফলতার কিংবা ব্যর্থতার প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়।ডজন খানেক কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনুপ্রাণিত করে বুদ্ধিবৃত্তিক সংকট হয়ত বা কাটানো সম্ভব।
কিন্তু জাতির বৃহৎ অংশের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মানবীয় মর্যাদা অর্জনে এবং কল্প-কাহিনির সাথে মিশ্রিত সত্যকে কখনোই অনুধাবন করতে পারবে না।কারণ তাদের বহুরূপী বুদ্ধিবৃত্তিক মেধাকে আমরা সুকৌশলে বিভ্রান্তির গহীন খাদে ফেলে দিচ্ছি।স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কখন খোলা হবে?ছাত্র-ছাত্রীদের এখন একটাই প্রশ্ন আমাদের পরিক্ষা কি হবে?এই অনিশ্চয়তা তাদেরকে পড়া থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
লাখ লাখ বেকারা আজ নিরাশায় দিশেহারা।স্বপ্নের ক্যাম্পাস ছেড়ে ছাত্রসমাজ আজ রাস্তার বিভিন্ন অলিতে-গলিতে।তাদেরই কেউবা বিভিন্নভাবে মারাত্মক নেশায় আসক্ত।কেউবা আবার চাকরিতে কোটার বৈষম্য, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো ইত্যাদির দাবিতে আজ একরোখা।
ইউরোপীয়ানরা যেখানে বলছে,পৃথিবীর বুকে সভ্যতার আলোকবর্তিকা হলো “কলম”,সেখানে আমরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিচ্ছি তাদেরই তৈরি উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ফোন।তাইতো আজ দেখি,তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে আলো ছড়াচ্ছে আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দুমড়ে-মুচড়ে পরে আছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আলোর আড়ালে।তবে কি মহামারী করোনার আঘাতের প্রভাবে আমরা বহুরূপী মেধার অধিকারী এই চারা গাছ গুলোকে মনগড়া পক্ষপাতিত্বের রাশি রাশি বানোয়াট রঙ্গিন স্বপ্নের আবরণে ডেকে ফেলছি?