বারহাট্টায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত পশু প্রান্তিক খামারিরা

৪৬

ওমর ফারুক আহম্মদ জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোণা বারহাট্টা)
নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের (পশু হাসপাতাল) সেবা না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রান্তিক খামারিরা। দীর্ঘদিন থেকে সেবা না পাওয়ার কারণে একধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে খামারিদের মধ্যে। শুধু তা-ই নয়, সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতার অভাবে অনেক নতুন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আবার অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এতে একদিকে খামারিরা আর্থিকভাবে হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ দফতরের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।জেলা শহরসহ ও বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে সরেজমিনে গেলে প্রাণিসম্পদ দফতরের অসহযোগিতার কথা এই জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। অনেকে সরকারি দফতরের নাম শুনলেও বাস্তবে কোনো ভেটেরিনারি সার্জনের সেবা তো দূরের কথা, চোখেও দেখেনি বলে জানিয়েছেন। এমন চিত্র বারহাট্টা সাত ইউনিয়ন জুড়েই।
বারহাট্টা উপজেলা গুমরিয়া গ্রামের খামারি
মোঃ ছাইদুর রহমান খোকন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গরুর খামারের সঙ্গে যুক্ত আমি। আমার খামারে বর্তমানে ৩০টি গরু ১৬টি গাভী আছে।একটি গাভীর মৃত্যু, ৩ একর জায়গা ৯০ শতাংশ নিয়ে খামার তৈরি করেন।বারহাট্টা প্রায় ৪১ টি খামার আছে।টিকা fmd,তরকা,বাদলা বা (গলা ফুলা) থেকে বঞ্চিত । প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে কোনো পরামর্শ কিংবা সহযোগিতা পাইনি। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোতেও তাদের দেখা পাইনি আমরা। বাধ্য হয়ে টাকার বিনিময়ে বেসরকারি পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিই আমি।

পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাধারণত গ্রামে আসেন না। গবাদিপশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে তাদের অফিসে নিয়ে যেতে বলা হয়। অফিসে গরু নিতে গেলে কমপক্ষে ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের মতো ছোট খামারির পক্ষে এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। কয়েকবার ফোন করার পর যদি কোনো চিকিৎসক আসেন, চিকিৎসা শেষে তাদের আবার তেল খরচ বাবদ টাকা দিতে হয়।গত বছর সঠিক চিকিৎসার অভাবে আমার একটা বড় গরু মারা গেছে।প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে কৃত্রিম প্রজননকারী ও একজন করে ভ্যাকসিনেটর ও লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার গ্রামে গ্রামে ঘুরে খামারিদের সেবা দেন না।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.