মেহেদী হাসান সজীব, ডেস্ক রিপোর্টঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান সংকট যত দিন গড়াচ্ছে তত যাচ্ছে যুদ্ধের দিকে। অষ্টম দিনেও চলছে দু’পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা। তবে এবার ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর ভয়াবহ হামলার জবাব দিচ্ছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিন থেকে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হারে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে গেছে। একের পর এক রকেট হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গতকাল রোববার এবিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে।
বার্তা সংস্থা এএফপি কে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল অরি গর্ডিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন হামাস গোষ্ঠী আজ সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার রকেট ছুড়েছে। তাদের সাথে ফিলিস্তিনের অতীতের কোন সংঘর্ষে এতো পরিমাণ রকেট হামলা হয়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বরাতে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ করে বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে এক দফায় সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল। তখন তিন দিনে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে মোট ৫৭০টি রকেট ছোড়ে হামাস। কিন্তু এবার যেন বৃষ্টির মত শত শত রকেট ছুড়ছে ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েল ‘আয়রন ডোম’ নামে বিশ্বের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পর ও রকেট হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না এবার। ইসরায়েল ২০১১ সালে প্রথম ‘আয়রন ডোম’ মোতায়েন করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে বৃষ্টির মত রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে থেকে চলা সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় গাজায় প্রাণহানি প্রায় ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৮ জন শিশু রয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত তাদের ১৪ জন নিহত হয়েছে।