নেতার মাধ্যমে মোংলা বন্দরে প্রতারণা করে চাকুরী

১৯

মোঃমাসুদ পারভেজ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-

প্রতরণার মাধ্যমে ভূয়া ঠিকানা ও কাগজপত্র ব্যবহার করে মোংলা বন্দরে চাকুরি নিয়ে দূদকের তদন্ত জালে আটকা পড়েছেন লাইট কিপার পদবীর মোঃ শাহীন। শাহীনের পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর বোয়াল গ্রামে। বন্দরে চাকুরির ঘোষণা অনুযায়ী ওই জেলায় কোঠা না থাকায় প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে তিনি চাকুরি নিয়েছেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্ধি চর দক্ষিণবাড়ীর ঠিকানায়।

২০১৩ সালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) এক নেতা মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে এ চাকুরী পাইয়ে দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনটি লেখার সময় ওই নেতা সিবিএর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান শাকিবের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি নিউজটি না করার জন্য অনুরোধ করেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগের লাইট কিপারসহ অন্যান্য পদে লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে লাইট কিপার পদে চাকুরির জন্য আবেদন করেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির বোয়াল গ্রামের মোঃ মোকলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ শাহীন। তার জেলায় কোঠা না থাকায় প্রতারণার মাধ্যমে সে ন্যাশনাল আইডি/জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন ও বয়স কমিয়ে রাজবাড়ী জেলার ঠিকানায় চাকুরির আবেদন করে চাকুরিতে ঢোকেন। তবে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে চাকুরি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ শাহীন বলেন, বিষয়টি সত্য না।

এদিকে বন্দর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে তার প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে। এনিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার কার্যালয়ে অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে দুদকের খুলনার সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এ নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র, খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিবো।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.