মেহেদী হাসান সজীব, ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ২১ এপ্রিল বুধবার ইন্দোনেশিয়ায় নৌবাহিনীর ৫৩ জন নাবিকের একটি দল সাবমেরিন নিয়ে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। কেআরআই নানগালা-৪০২ নামের ওই সাবমেরিনের খোঁজে ইতিমধ্যে যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সেনাপ্রধান।
দুর্ঘটনার স্বীকার সাবমেরিনে ৫৩ জন আরোহী নিয়ে বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে সাবমেরিনে খুবই অল্প পরিমান অক্সিজেন আছে। সাবমেরিন টি ৭২ ঘন্টার অক্সিজেন সরবরাহ করে মহড়ায় অংশ নিয়ে ছিল। সে হিসেবে শনিবার সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ থাকার কথা। আজকে শনিবার ভোরের মধ্যে সাবমেরিনটির খোঁজ না পেলে ক্রুদের বাঁচানো সম্ভব হবে না।
সাবমেরিনটির এখন পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। সাবমেরিন টি উদ্ধার করার মত সক্ষমতাও নেই ইন্দোনেশিয়ার। ফলে
সাবমেরিনটির সন্ধান ও উদ্ধারের জন্য সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এছাড়া মালেশিয়া, সিংঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার, ফ্রান্স, জার্মানির পক্ষ থেকে ও উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই সাবমেরিন টি উদ্ধারে ৬ টি যুদ্ধ জাহাজ, একটি হেলিকপ্টার, ৬০০ মানুষ অংশ নিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সরকার ধারনা করছে, সাবমেরিনটিতে এখন যেটুকু অক্সিজেন আছে তাতে ক্রুদের জীবিত উদ্ধারের জন্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় আছে। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র আশমাদ রিয়াদ বলেন, আমাদের হাতে মাত্র শনিবার ভোর ৩টা পর্যন্ত সময় আছে। তাই আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি।
এদিকে সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার স্থানে তেল ভাসতে দেখা গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, সাবমেরিনটির তেলের ট্যাংকে ছিদ্র হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিন রয়েছে, সেগুলোর একটি হচ্ছে কেআরআই নানগালা-৪০২। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, সত্তর দশকের দিকে এই সাবমেরিন তৈরি হয়। ২০১২ সালের আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই বছর ধরে এটি মেরামত করা হয়।
তথ্যসূত্র- বিবিসি, রয়টার্স